দিল্লি থেকে কলকাতা ১২০ ঘণ্টায়, পণ্যবাহী ট্রেনের জন্যও সময় বাঁধল রেল
বর্তমান | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি: এক মিনিট আগেও নয়, এক মিনিট পরেও নয়! এবার রীতিমতো নিখুঁত সময় মেনে পণ্য পরিবহণ করবে রেল। সেই মতোই ‘ফার্স্ট অ্যাশিয়োর্ড ট্রানজিট টাইম কন্টেনার ট্রেন’ চালু হয়েছে গত ১ অক্টোবর থেকে। আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসেবেই বেছে নেওয়া হয়েছে দিল্লি-কলকাতা রুটকে। রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই রুটেই প্রথমবার সময় নির্ধারিত পণ্যবাহী ট্রেন চালানো হবে। দিল্লি থেকে কলকাতায় পৌঁছতে সেটি সময় নেবে ঠিক ১২০ ঘণ্টা।
ভারতীয় রেলের সময়ানুবর্তিতা নিয়ে বিভিন্ন সময় একের পর এক অভিযোগ ওঠে। শুধু যাত্রীবাহী নয়, পণ্যবাহী ট্রেন কিংবা মালগাড়ির ক্ষেত্রেও অনেক সময় অতি বিলম্ব হয় । ডেডিকেটেড পণ্যবাহী করিডরের কিছু অংশে মালগাড়ি চলাচল শুরু হওয়ার পর এই সংক্রান্ত অভিযোগ সামান্য কমেছে ঠিকই। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে সংশ্লিষ্ট ‘কনসাইনমেন্ট’ পৌঁছে দিচ্ছে মালগাড়ি, এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী প্রায় কেউই হননি। ‘ফার্স্ট অ্যাশিয়োর্ড ট্রানজিট টাইম কন্টেনার ট্রেন’কে তাই এদিক থেকে উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করা হচ্ছে। রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘কন্টেনার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডে’র (কনকর) মাধ্যমেই যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। দিল্লির তুঘলকাবাদ টার্মিনাল থেকে পণ্যবাহী ট্রেন আগ্রা এবং কানপুর হয়ে কলকাতা সংলগ্ন শালিমারে পৌঁছবে ১২০ ঘণ্টায়। এই বিশেষ কন্টেনার ট্রেন চালানো হবে সপ্তাহে দু’দিন, প্রতি বুধবার এবং শনিবার। রেল জানিয়েছে, এর ফলে পণ্য পরিবহণে আরও গতি যেমন আসবে। তেমনই ডোর-টু-ডোর ‘কনসাইনমেন্ট’ পেতে অযথা বিলম্বও ঘটবে না। দিল্লি-কলকাতা রুটে পাইলট প্রজেক্টে সাড়া মিললে দেশের অন্যত্রও পর্যায়ভিত্তিতে এহেন কন্টেনার ট্রেন চালু করা হবে। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে সারা দেশে ১ হাজার ৫৯১ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহণ করেছিল রেল। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৬১৫ মিলিয়ন টন।