• চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ল বেপরোয়া গাড়ি, মৃত ৪
    বর্তমান | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি ও ময়নাগুড়ি: দশমীর সন্ধ্যায় ধূপগুড়িতে বিষাদের সুর। কোচবিহারগামী একটি ছোট গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল চার জনের। জখম হয়েছেন আরও ছ’জন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মণ্ডপে মণ্ডপে চলছিল প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি। রাস্তাঘাটেও ছিল ব্যাপক ভিড়। সেসময় ধূপগুড়ি শহরের ২নং ব্রিজের পাশে চায়ের দোকানে বসে থাকা ১০ জনকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আরও দু’জন  মারা যান। ঘটনায় জখম এক শিশু সহ বাকিদের চিকিৎসা চলছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পুলিশ ঘাতক গাড়ির চালককে আটক করেছে। এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃতদেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। তাঁরা মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি তোলেন। 

    পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হলেন সন্তোষ রায় (৪৫), সুমীর সরকার (৫৫), দীনবন্ধু রায় (৪২) এবং শম্ভুনাথ রায় (৪০)। সন্তোষ রায় ও দীনবন্ধু রায়ের বাড়ি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁরা ডেকরেটর কর্মী। শম্ভু রায়ের বাড়ি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি দিনমজুর ও সুমীর রায় কলকাতার বাসিন্দা হলেও চাকরিসূত্রে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে থাকেন।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধূপগুড়ির ২নং ব্রিজের সামনে চায়ের দোকানে বসেছিলেন বেশ কয়েকজন। ঠিক সেই সময় কোচবিহারগামী একটি ছোট গাড়ি দ্রুতগতিতে এসে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে  ঢুকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে দু’জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন রাতেই ধূপগুড়ির এসডিপিও গেইলসেন লেপচা, আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য সহ বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল। যথোপযুক্ত আলো ও ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় দোকানের ভিতরে ঢুকে পড়ে গাড়িটি। শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েন ধূপগুড়ির বিধায়ক ও পুলিশ আধিকারিকরা। যদিও ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় ও জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার খণ্ডবাহলে উমেশ গণপত ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)