জেলার ১৫টি পুজো কমিটিকে নিয়ে রায়গঞ্জে আজ কার্নিভাল
বর্তমান | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: আজ, শনিবার ১৫টি পুজো কমিটির অংশগ্রহণে কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রায়গঞ্জ শহরে। তার জন্য চুড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি চলল শুক্রবার দিনভর। মঞ্চ থেকে কার্নিভালস্থলের সৌন্দর্যায়ন সবেতেই থাকছে স্থানীয় কৃষ্টি সংস্কৃতির ছোঁয়া। এদিন শহরের গীতাঞ্জলি সিনেমা হলের কাছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা, মহকুমাশাসক কিংশুক মাইতি সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁরা মূলত খতিয়ে দেখেন গোটা ব্যবস্থাপনা। যাতে সুষ্ঠুভাবে জেলার পুজো কার্নিভাল সম্পন্ন করা যায়। জেলাশাসক বলেন, রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদের ১৫ টি সেরা পুজো কার্নিভালে অংশ নিতে চলেছে। বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে সমস্ত ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে।
এবার অনুশীলনী ক্লাব, মোহনবাটি সবুজ সংঘ, দেহশ্রী ব্যায়ামাগার, তুলসীতলা বিবেক সংঘ সহ ১৫ টি পুজো কমিটি কার্নিভালে অংশ নেবে। প্রশাসনের স্পষ্ট বার্তা, প্রশাসনকে না জানিয়ে আচমকা কোনও ইভেন্টের আয়োজন কার্নিভালে করা যাবে না। বিশেষত কার্নিভালে উপস্থিত মানুষের সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন কোনও ইভেন্টের ক্ষেত্রে এবার আগেভাগেই এমন বিধিনিষেধ বেঁধে দিল প্রশাসন। সম্প্রতি জেলাশাসক দপ্তরে পুজো উদ্যোক্তা, বণিক সংগঠন, পুলিশ, দমকল, পিডব্লুডি, রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ পুরসভাকে নিয়ে বৈঠক করে প্রশাসন। সেখানেই একথা স্পষ্ট করে দেয় প্রশাসন।
এর কারণ হিসাবে প্রশাসনের যুক্তি, দু’বছর আগের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। ২০২২ সালে রায়গঞ্জ শহরে আয়োজিত কার্নিভালে একটি বিপত্তি ঘটে যায়। সেবার কার্নিভালে প্রতিমা বহনকারী একটি গোরুর গাড়ি থেকে ছিটকে বেরিয়ে যায় দুটি গোরু। তাতে গরুর গুঁতো এবং হুড়োহুড়িতে ৩০ জন দর্শক আহত হন। বিষয়টি নিয়ে সেসময় বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয় প্রশাসনকে। তাই সেই অতীত অভিজ্ঞতা থেকেই এবার কার্নিভালের সুরক্ষা নিয়ে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে প্রশাসন স্পষ্ট করে দেয়।
রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক কিংশুক মাইতি জানিয়েছেন, শনিবার জেলার মূল পুজো কার্নিভাল আয়োজন হতে চলেছে। যেখানে অংশ নেবে রায়গঞ্জ মহকুমার ১৫ থেকে ২০ টি পুজো কমিটি। অন্যান্য বছরের মতো রায়গঞ্জ শহরের গীতাঞ্জলি সিনেমা হলের সামনে কার্নিভাল মঞ্চ তৈরি হয়েছে। যেখানে প্রতিমা নিয়ে সারিবদ্ধভাবে পুজো কমিটিগুলি তাদের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করবে। শোভাযাত্রা নির্বিঘ্নে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে এবার প্রশাসনকে না জানিয়ে আচমকা কোনও ইভেন্টের আয়োজন করা যাবে না। সেইসঙ্গে কুলিক নদীর দুটি ঘাট খরমুজা এবং বন্দর ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের সুব্যবস্থা থাকবে। এরজন্য পুলিশ, পুরসভা, সিভিল ডিফেন্স সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি সমন্বয় রেখে গোটা বিষয়টি পরিচালনা করবে।