আজ শিলিগুড়িতে পুজো কার্নিভাল, অংশগ্রহণ করছে ১২টি ক্লাব ও সংস্থা
বর্তমান | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: আবহাওয়ার পূর্বাভাসে পুজোর দিনগুলিতে শিলিগুড়িতে বৃষ্টির ভ্রুকুটি ছিলই। তবে নবমী ও দশমীতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ছাড়া বাকি দিনগুলি ছিল রোদ ঝলমলে। সকাল থেকে সারা রাত মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেরিয়েছে উৎসব প্রিয় মানুষ। শান্তিপূর্ণভাবে আনন্দঘন পরিবেশে পুজো পর্ব মিটতেই বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শিলিগুড়িতে শুরু হয় প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। শুক্রবারও চলছে প্রতিমা নিরঞ্জন।
প্রতিমা নিরঞ্জন শেষ হতে না হতেই শনিবার শিলিগুড়িতে শুরু হবে আর এক উৎসব, পুজো কার্নিভাল। বিগত কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে শিলিগুড়ি পুরসভা এই কার্নিভালের আয়োজন করে আসছে। যা শারদ উৎসবে শিলিগুড়ির আপামর মানুষের আবেগ।
শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বৃহস্পতিবার বিসর্জনের প্রতিটি মুহূর্ত লালমোহন মৌলিক ঘাটে বসে তদারকি করেছেন। সেইসঙ্গে চলেছে কার্নিভালের প্রস্তুতি। নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সঙ্গে সঙ্গে সব কাঠামো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরিষ্কার করা হয়েছে মহানন্দা নদী ঘাট। এবারের কার্নিভালে তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের সঙ্গে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের ১১টি ক্লাব অংশগ্রহণ করছে। গতবারের তুলনায় ক্লাবের সংখ্যা কমলেও এবারের কার্নিভালের বিশেষ আকর্ষণ গঙ্গা আরতি।
কার্নিভাল নিয়ে শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠকে মেয়র বলেন, ১২টি ক্লাব ও সংস্থা এবারের কার্নিভালে অংশগ্রহণ করছে। প্রত্যেকে আলাদা আলাদা আকর্ষণীয় থিমে ট্যাবলো নিয়ে এই কার্নিভালে অংশ নিচ্ছে। বৃষ্টিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে আয়োজনের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে রাস্তায় আলপনা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবু আমরা এই কার্নিভালের সুন্দর আয়োজনে আন্তরিক চেষ্টার ত্রুটি রাখছি না। এই কার্নিভাল শিলিগুড়ি শহরের মানুষের একটা আবেগ হয়ে উঠেছে।
কার্নিভাল দেখতে এসে মানুষের যাতে কোথাও কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকেও নজর রাখছে পুরসভা। শহরের এয়ারভিউ মোড়র মূল মঞ্চ ছাড়াও সেভক মোড় ও ভেনাস মোড়ে থাকবে এলইডি স্ক্রিন। যেখানে মানুষ সরাসরি এই কার্নিভালের দৃশ্য দেখতে পারবেন। এছাড়াও মূলমঞ্চের চারপাশে থাকবে অসংখ্য এলইডি স্ক্রিন। মেয়র বলেন, সকলের পক্ষে মঞ্চের কাছে পৌঁছন সম্ভব নয়। দূরে থেকেও যাতে মানুষ এই কার্নিভাল দেখতে পারেন তার জন্য এই ব্যবস্থা। অনেক মানুষ, দলে দলে পুরুষ-মহিলা আসবে। তাদের যাতে শৌচকর্মের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে এদিন হোটেল মালিকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, কার্নিভালের রাস্তার ধারের হোটেল মালিকদের বলা হয়েছে, তাঁদের হোটেলের শৌচালয়গুলি প্রয়োজনে মহিলা দর্শনার্থীদের ব্যবহার করতে দেওয়ার জন্য। এছাড়াও পুরসভার তরফে নির্দিষ্ট জায়গায় থাকবে দু’টি বায়ো-টয়লেট।