নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বৃষ্টির আশঙ্কা নিয়েই আজ, শনিবার জলপাইগুড়িতে দুর্গা কার্নিভাল। অংশ নিচ্ছে ১৮টি পুজো কমিটি। জলপাইগুড়ি শহরের পিডব্লুডি মোড় থেকে শুরু করে পোস্টঅফিস মোড়, গান্ধী মোড় হয়ে কিংসাহেবের ঘাটে গিয়ে শেষ হবে ওই কার্নিভাল। অতিথিদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে ভালোভাবে কার্নিভাল দেখতে পারেন, সেজন্য ক্লাবরোডে তৈরি করা হয়েছে একাধিক মঞ্চ। কার্নিভালে অংশ নেওয়া প্রতিমা বির্সজনের জন্য তিনটি ঘাট বানানো হয়েছে করলা নদীতে। বিসর্জন ঘাটের পাশাপাশি কার্নিভালের পথের নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে বাড়তি সিসি ক্যামেরা। মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ। নদীঘাটে রাখা হচ্ছে স্পিডবোট ও সিভিল ডিফেন্স বাহিনী।
শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খণ্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, বিগত বছরগুলির মতো এবারও পুজো কার্নিভাল সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেকারণে সময়ের মধ্যে যাতে কার্নিভাল শেষ করা যায়, সেটাই মূল লক্ষ্য। কার্নিভালে অংশ নেওয়া পুজো কমিটিগুলিকে বিকেল তিনটের মধ্যে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু হবে কার্নিভাল। রাত আটটার মধ্যে কার্নিভাল শেষ করার চেষ্টা হবে। পুলিশ সুপার বলেন, পারফরম্যান্সের জন্য প্রতিটি পুজো কমিটিকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের পারফরম্যান্স শেষ করতে হবে। সামগ্রিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঘোষণা করা হবে। মণ্ডপ থেকে একেবারে বিসর্জন ঘাট পর্যন্ত প্রতিটি পুজো কমিটির সঙ্গে নির্দিষ্ট পুলিশ অফিসার থাকবেন। এছাড়াও প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার পুলিশ প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তায় জলপাইগুড়ি শহরের করলা নদীর বিভিন্ন ঘাটে দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। এরই পাশাপাশি দিনভর কার্নিভালের প্রস্তুতি চলে। ঘাটের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। জলপাইগুড়ি পুরসভার পক্ষ থেকে কার্নিভালের রাস্তা সাফাইয়ের কাজ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিসর্জনের পরই নদী থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রতিমার কাঠামো।