নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: একদিকে দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন ঘিরে উন্মাদনা। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জঙ্গলে বিপুল সংখ্যক হাতি উপস্থিতিতে আতঙ্ক। রাত বাড়লেই খাবারের সন্ধানে জঙ্গল লাগোয়া চাষের জমিতে ঢুকে পড়ছে হাতির দল। জঙ্গলের উপরই গ্রামের মানুষের রুটিরুজি নির্ভর করে। হাতি থাকায় জঙ্গলে যেতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। যার ফলে টান পড়ছে রোজগারে। বনকর্মীদের সূত্রে খবর, জেলায় প্রায় ৯০টির বেশি হাতি রয়েছে। সমস্যা বাড়াচ্ছে দলছুট হাতিরা। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, রাতের অন্ধকারে গ্রামে চলে আসছে হাতি। ঠাকুর দেখতে গিয়েও সর্বক্ষণ ভয়কে সঙ্গী করে ঘুরতে হয়েছে।
মেদিনীপুর ডিভিশনের চাঁদড়ার বাসিন্দা সুদেব খাড়া বলেন, হাতির দল মাঝে মধ্যেই তাণ্ডব চালাচ্ছে। ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের মানুষের সংসার চলে জঙ্গলের ভরাসাতেই। পুজোর আগে বহু মানুষ জঙ্গলে বনজ ফল, ছাতু সংগ্রহ করতে যান। সেইসব জিনিস বাজারে বিক্রি করে দুটো বাড়তি পয়সার মুখ দেখেন গ্রামবাসীরা। বহু মানুষ জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করে বিক্রি করেন। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে হাতি। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর বনবিভাগের চাঁদড়া, আরাবাড়ি, পিড়াকাটা সহ একাধিক এলাকায় দলছুট হাতি রয়েছে। শুধু মেদিনীপুর ডিভিশন এলাকায় আছে ৮১টি হাতি ও রূপনারায়ণ ডিভিশনে ১১টি হাতি। বন বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, বনকর্মীদের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হচ্ছে। ক্যুইক রেসপন্স টিমও থাকবে। যাঁরা বিপদ বুঝলেই এগিয়ে যাবেন। মেদিনীপুর বন বিভাগের ডিএফও দীপক এম বলেন, বনদপ্তর সজাগ রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। কেউ আতঙ্কিত হবেন না। বিপুল সংখ্যক বনকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।