সুষ্ঠুভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন, দু’দিনে গঙ্গা থেকে তোলা হল ৪৫০০ টন কাঠামো
বর্তমান | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শহরের ১৮টি গঙ্গার ঘাট সহ বিভিন্ন পুকুর ঝিল, জলাশয় নির্বিঘ্নেই চলছে প্রতিমা নিরঞ্জন। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বাড়ির পুজো থেকে শুরু করে কয়েকটি বড় পুজো কমিটি প্রতিমা বিসর্জন সেরে ফেলেছে। শুক্রবার দিনভর একইভাবে বিসর্জন পর্ব চলেছে। কলকাতা পুরসভার হিসেব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে শহরের বিভিন্ন ঘাটে। ঘাটগুলিতে যাবতীয় দায়িত্ব সামলেছে কলকাতা পুরসভা। রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশও। তবে এসবের মধ্যে বিশেষ আকর্ষণ গোয়ালিয়ার বা জাজেস ঘাটের র্যাম্প। যার জেরে সেখানে বাড়তি প্রতিমা নিরঞ্জন সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে চলতি বছর দশমীতেই শহরের প্রায় অর্ধেক প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, গতবার দশমীতে ১১০০ প্রতিমা ভাসান দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছর দশমীতে ২২০০টি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস থাকায় দশমীতে বহু বাড়ির পুজো ও বারোয়ারি কমিটি বিসর্জন সেরে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর সঙ্গে একাদশীর হিসেব যোগ করলে প্রতিমা নিরঞ্জনের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বৃহস্পতি এবং শুক্রবার বাজেকদমতলা ঘাট পরিদর্শন করেন। মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার এবং দেবব্রত মজুমদারও দফায় দফায় গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখেন। এছাড়াও পুর কমিশনার বাজেকদমতলা ঘাটে ছিলেন। অন্যান্য অফিসাররা সর্বত্র মোতায়েন ছিল। বিসর্জনের কারণে যাতে গঙ্গা দূষণ না হয়, তাই আগে থেকেই প্রতিমার ফুল, বেলপাতা ইত্যাদি বিভিন্ন সাজ-সরঞ্জাম আলাদা করা হয়। প্রতিমা জলে পড়া মাত্রই ক্রেন দিয়ে সেই কাঠামো তুলে ঘাটে জমা করা হয়েছে। তারপর নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যত্র। পুরসভা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পর্যন্ত লরি এবং ডাম্পার মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার টন কাঠামো গঙ্গা থেকে তোলা হয়েছে। বাজেকদমতলা ঘাট, বাগবাজার ঘাট, নিমতলা ঘাট, জাজেস ঘাট, দই ঘাট সহ কলকাতার ১৮টি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। এর মধ্যে তিনটি বড় ঘাট জাজেস ঘাট, নিমতলা ঘাট এবং বাজেকদমতলা ঘাটে ক্রেন রাখা হয়েছিল।