বরুণ সেনগুপ্ত: প্রতিমা নিরঞ্জন করতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল বছর একত্রিশের রেনুকা সরকারের। বালিগঞ্জ প্লেসের বাসিন্দা রেনুকা সরকার পাড়ারই পুজো আদি বালক সংঘের প্রতিমার শোভাযাত্রার সঙ্গে বেরিয়েছিলেন তিনি। যে ট্রলারে ঠাকুর ছিল সেই ট্রলারে বসেছিলেন রেনুকা সরকার।
শরৎ বোস রোড আসতেই ঘটে দুর্ঘটনা। ট্রলার থেকে পড়ে যান, তারপর প্রায় ৩০ মিটার তাঁকে ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতে নিয়ে যায় ট্রলার। এরপর ট্রলারে থাকা বাকিদের চেঁচামেচিতে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রলারটি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পলাতক গাড়ির চালক ও খালাসি। রেনুকা মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত, বিজয়াদশমীর দিনে ঠাকুর বিসর্জন করতে এসে আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে মারা যান একজন। আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনের ব্রিজের হাইটবারে ধাক্কা লেগে মৃত এক। মৃতের নাম উৎসব চ্যাটার্জি। বেহালা সেনহাটি সাঁতরাপাড়ার পুজো কমিটির সদস্য তিনি। পুলিসসূত্রে জানা যাচ্ছে, লরির মাথায় বসেছিলেন উৎসব। হাইটবারে ধাক্কা লাগলে গুরুতর আহত হন। এসএসকেএমে তাঁকে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বেহালা সেনহাটি বাজারে বাবুঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে হাইটবারে ধাক্কা খেয়ে স্থানীয় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, দুর্গাপুজোর বিসর্জনে বেরিয়ে আরও এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ায়। বৃহস্পতিবার দুর্গা প্রতিমা নিয়ে বেরিয়েছিলেন বিসর্জন দিতে। একটি ট্রাক্টর ট্রলিতে প্রতিমাকে তুলে একদল মানুষ যাচ্ছিলেন বিসর্জন দিতে। পথে একটি পুকুরপাড় দিতে যাওয়ার সময় ট্রাক্টরটি উল্টে পুকুরে পড়ে যায়। তাতেই চাপা পড়ে যান ট্রলিতে থাকা মানুষজন। তাতেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে জামিল গ্রামে।
সংবাদমাধ্য়মের রিপোর্ট অনুযায়ী ট্রাক্টর ট্রলিতে ছিলেন ২০-২৫ জন। একটি কার্লভার্ট পার হতেই সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই এলাকার মানুষজন উদ্ধারকাজে নেমে পড়ে। ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনই শিশু।