মুর্শিদাবাদের রেজিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ওসমান বিশ্বাসের দেহ পোঁতা হয়েছিল একটি পরিত্যক্ত জায়গায়, সূত্রের খবর এমনটাই। শনিবার এই ঘটনায় ওয়াজ করিম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে রেজিনগর থানার পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাতে রেজিনগর থানার ছেতিয়ানি ঘোষপাড়ার যে এলাকায় বিস্ফোরণ হয়েছিল সেখানে উপস্থিত ছিলেন এই নিখোঁজ ব্যক্তি ওসমান বিশ্বাস। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। ধৃতের দাবি, বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। তাঁর দেহ লোপাট করার জন্য এলাকার একটি জায়গায় পুঁতে দেওয়া হয়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই জায়গাটিকে চিহ্নিত করে পুলিশ এবং দেহ তোলা হয় মাটি থেকে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বেলডাঙার এসডিপিও উত্তম গড়াই বলেন, ‘বোমা ফেটে ঘটনাস্থলে এক জনের মৃত্যু হয়। প্রমাণ লোপাট করতে তাঁর মৃতদেহ ঘটনাস্থলের কাছেই মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক জেরা করে ধৃত ব্যক্তির কাছ থেকে ওই মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে রাখার কথা জানা গিয়েছে।’
উল্লেখ্য, ওসমান বিশ্বাসের স্ত্রী সামিরা বিবি দাবি করেছিলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ একটি মোটরবাইকে তিন জন এসে বাড়ি থেকে তাঁর স্বামীকে বোমা বাঁধার জন্য ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে একজনকে তিনি চিনতে পারলেও বাকি দুই জনের মুখ গামছায় ঢাকা ছিল। ওই দিন রাতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, এলাকায় বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।