• দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেখতে গিয়ে এ কী পরিণতি! অযোধ্যায় পুকুরে ডুবে অকালে মৃত্যু কিশোরের...
    আজকাল | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
  • আজাকাল ওয়েবডেস্ক: দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জন ঘিরে নামল চরম বিষাদের ছায়া। পুকুরে পা পিছলে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক ১৬ বছর বয়সি কিশোরের। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত কিশোরের নাম সন্দীপ। সে বিকাপুর তহসিলের অন্তর্গত সালহিপুর পারসিপুর গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে সে একটি দুর্গামূর্তির বিসর্জন দেখতে গিয়েছিল। সেই সময়ই আচমকা পা পিছলে পুকুরে পড়ে ডুবে যায় ছোট্ট ছেলেটি।

    খবর পেয়েই ডুবুরিদের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশির পর জল থেকে অবশেষে সন্দীপের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার জেরে, অতিরিক্ত জেলাশাসক অনিরুদ্ধ সিংহ জানান, "দেহটি উদ্ধারের পর তড়িঘড়ি তাকে একটি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকেরা সন্দীপকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।" বর্তমানে পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। 

    প্রসঙ্গত, কলকাতায় ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এবার ঘটনাস্থল বেহালা-সরশুনা এলাকা। শনিবার পঞ্চমীর সকালে ৬৬ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এলাকায় জমে থাকা জলের ওপর দাঁড়িয়ে দোকানের শাটার খোলার চেষ্টা করছিলেন বৃদ্ধা। সেই শাটার খুলতে গিয়েই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যাচ্ছে, শাটারে হাত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শক খান তিনি। কোনওভাবে ইলেকট্রিকের তার শাটারের সঙ্গে লেগে ছিল। জলে দাঁড়িয়ে সেখানে হাত লাগতেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃতার নাম শ্রাবন্তী দেবী। তিনি সরশুনার ক্ষুদিরাম পল্লির তালপুকুর রোডের বাসিন্দা।

    এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি দোকান খুলতে গিয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখতে পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এবং সিইএসসিকে খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সম্প্রতি, গত সোমবার সারারাতের বৃষ্টিতে কার্যত ভেসে গিয়েছিল গোটা কলকাতা। সেই জল এখনও নামেনি অনেক জায়গায়। উৎসবের আবহে প্রাকৃতিক দুর্যোগে হাহাকার পড়ে গিয়েছিল।

    একরাতেই অতি প্রবল বৃষ্টির জেরে মৃত্যুমিছিল দেখা যায় শহরে। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়তে দেখা গিয়েছে ক্রমশ। মঙ্গলবার জানা যায়, ন’জনের মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই হয়েছে। এক ব্যক্তির দেহ জমা জলে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়দের অনুমান, ওই ব্যক্তিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে একজন নেতাজিনগরের বাসিন্দা, একজন কালিকাপুরের বাসিন্দা, একজন বালিগঞ্জ প্লেস (গড়িয়াহাট) এর বাসিন্দা, একজন বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা, একজন একবালপুরের বাসিন্দা, একজন হরিদেবপুরের বাসিন্দা, একজন বেহালার ও একজন শেক্সপিয়ার সরণির বাসিন্দা।
  • Link to this news (আজকাল)