• ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’-র জেরে তোলপাড় হবে রাজ্য, বন্যায় জীবন হবে কাবু, মহারাষ্ট্র জুড়ে আগেভাগে জারি হল সতর্কতা...
    আজকাল | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরব সাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’-র জেরে মহারাষ্ট্রে জারি হল সতর্কতা। আবহাওয়া দপ্তর (IMD) জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে উত্তাল হবে সমুদ্র। পাশাপাশি, রাজ্যজুড়ে প্রবল বৃষ্টি, দমকা হাওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মুম্বই, থানে, পালঘর, রায়গড়, রত্নাগিরি ও সিন্ধুদুর্গ জেলায় ৭ অক্টোবর পর্যন্ত লাল এবং কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    উত্তর মহারাষ্ট্র উপকূলে ইতিমধ্যেই ঘণ্টায় ৪৫–৫৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে দিয়েছে। যা দমকা হাওয়ায় ৬৫ কিমি পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের আশঙ্কা, ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার গতিও আরও বৃদ্ধি পাবে। উত্তর মহারাষ্ট্র উপকূলে সমুদ্র পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, যা অন্তত ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যেতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার আশঙ্কায় সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

    আবহাওয়াবিদদের মতে, শুধু উপকূল নয়, রাজ্যের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদর্ভ ও মরাঠওয়াদায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর কোকণ অঞ্চলের নিম্নভূমিতে জলজমার ঝুঁকি রয়েছে। শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম ‘শক্তি’-র এই ঘূর্ণিঝড় প্রথমে পশ্চিমে অগ্রসর হলেও পরে পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম অভিমুখে সরে গিয়ে শনিবার সকালেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। ভারতের মৌসম ভবনের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘এরপর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমমুখী হয়ে ৫ অক্টোবরের মধ্যে উত্তর আরব সাগরের মধ্যাঞ্চলে পৌঁছবে।’

    এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী রবিবার পর্যন্ত গুজরাট–উত্তর মহারাষ্ট্র উপকূল ও পাকিস্তান উপকূলে সমুদ্র পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তাল থাকবে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দপ্তর। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় প্রায় ৮ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম অভিমুখে এগিয়েছে। তখন এটি দ্বারকার পশ্চিমে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার, করাচির দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ৩৩০ কিলোমিটার এবং পোরবন্দর থেকে পশ্চিমে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
  • Link to this news (আজকাল)