আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাওড়ার ডোমজুড়ে চাঞ্চল্য। শুক্রবার রাতে মন্দিরের চাতাল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ। হাওড়ার ডোমজুড়ের সলপ বটতলা এলাকার ঘটনা। স্থানীয়দের দাবি, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ডোমজুড় থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
মৃত যুবকের নাম কালু মাঝি। বছর বত্রিশের ওই যুবক ডোমজুড়ের সলপ বটতলা এলাকার বাসিন্দা। একাই একটি বাড়িতে থাকতেন। বিভিন্ন দোকান এবং কারখানায় কাজ করতেন। মাঝেমধ্যে এলাকারই হনুমান মন্দিরে ঘুমোতে যেতেন তিনি। শুক্রবার গভীর রাতে ওই হনুমান মন্দিরের চাতালেই তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সেই সময় রক্তে ভেসে যাচ্ছিল আশপাশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা কালুকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে চমকে যান। খবর দেওয়া হয় ডোমজুড় থানায়। পুলিশ খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ উদ্ধারের সময় কালুর কান এবং মাথার পিছন দিয়ে রক্ত বেরতে দেখা গিয়েছে। কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল, তা নিয়ে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, তাঁকে খুন করা হয়েছে। মাথার পিছনে ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় কে বা কারা দায়ী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ডোমজুড় থানার পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কালুর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কিনা, সে বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।