স্কুলের বারান্দা ভেঙে মিড ডে মিলের চাল খেল একটি দলছুট হাতি। বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশা সীমানা লাগোয়া নয়াগ্রামের একটি স্কুলে ঢুকে চাল খায় ওই দলছুট হাতি। বনদপ্তর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ১২ থেকে ১৫টি হাতির দল নয়াগ্রামের দিক থেকে ওড়িশার দিকে ড্রাইভ করা হচ্ছিল। সেই সময় একটি হাতি দলছুট হয়ে পড়ে। হাতিটি ওড়িশা সীমানা লাগোয়া নয়াগ্রাম ব্লকের কেশররেখা রেঞ্জের বালিগেড়িয়া বিটের বড়ামারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হানা দেয়।
স্কুলের প্রাচীর ভেঙে ভিতরে ঢুকে বারান্দা থেকে মিড ডে মিলের চাল ও ডালের বস্তা টেনে বের করে আনে। গ্রামবাসীদের তাড়ায় তা পুরো খেয়ে উঠতে পারেনি। তবে স্কুলের বেশ অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
এখন পুজোর ছুটি চলছে স্কুলে। মিড ডে মিলের চাল–ডাল স্কুলের ঘেরা বারান্দায় মজুত করে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। আড়রা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি হরিশ চন্দ্র সিং বলেন, ‘১৫টি হাতির দল এলাকায় রয়ে গিয়েছে। একটি হাতি স্কুলের মিড ডে মিলের চাল খেতেই ঢুকেছিল। স্কুলটি তছনছ করে দিয়েছে। স্কুলের গেট, বারান্দা সব ভেঙে গিয়েছে। বেশ কিছু চালও খেয়েছে।’
খড়গপুরের ডিএফও মনীশ যাদব বলেন, ‘বড়ামারা এলাকায় একটি হাতির দল রয়েছে। স্কুলটির ক্ষতি করছে ওই দলেরই একটি দল ছুট হাতি।’ ক্ষতিপূরণের বিষয়ে তিনি জানান, ‘হাতির হানায় সরকারি সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতি হলে সে ক্ষেত্রে বন দপ্তর ক্ষতিপূরণ দিতে পারে না।’
উল্লেখ্য পুজোয় ছুটি বাতিল করা হয়েছিল বনকর্মীদের। হাতির হানায় মৃত্যু ঘটনা আটকাতে এই সিদ্ধান্ত নেয় বনদপ্তর। যে সব এলাকায় হাতি রয়েচে সেখানে লাগাত নজরদারি চালিয়েছে বনদপ্তরের বিশেষ টিম। জঙ্গল মহলে হাতি অধ্যুষিত এলাকায় সন্ধের মধ্যে বাসিন্দাদের বাড়ি ফিরতে বলা হয়েছিল। এ বছরে ঝাড়গ্রামে পর্যটকদের ভিড় ছিল অনেকটাই বেশি। তাই বনদপ্তর হাতির উপরে বিশেষ নজরদারি চালিয়েছে।