দিব্যেন্দু সরকার: ধানজমিতে কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন এক চাষি। ওই চাষির মৃত্যুতে গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের রঘুবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলপুর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ওই চাষির নাম চন্দ্রশেখর কুণ্ড (৫২)।
ধানে কীটনাশক
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালবেলায় ধান চাষের জমিতে ধানে কীটনাশক দেওয়ার উদ্দেশ্যে মাঠে গিয়েছিলেন চন্দ্রশেখরবাবু। তখন হঠাৎ করেই আকাশে মেঘ জমে বৃষ্টি নামতে শুরু করে। বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বজ্রপাত শুরু হয়। এক বিকট শব্দের সঙ্গে বজ্রপাত সরাসরি তাঁর শরীরে আঘাত হানে। মুহূর্তের মধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
উদ্ধার
কিছুক্ষণ পর স্থানীয় বাসিন্দারা মাঠের দিকে গেলে বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে। তাঁরা দেখেন, কেউ একজন মাঠে পড়ে আছেন। কাছে গিয়ে দেখেন তাঁরা কী ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শোকের ছায়া
প্রান্তিক কৃষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডুর আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর পরিবার এবং গোটা গ্রামে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। স্থানীয় মানুষজন জানান, চন্দ্রশেখরবাবু একজন অভিজ্ঞ ও পরিশ্রমী কৃষক ছিলেন।
বজ্রাঘাতে
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাড়ছে। প্রতিবছর বর্ষাকালে বজ্রাঘাতের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষিকাজে নিযুক্ত মানুষজন বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠ বা জমিতে অবস্থান করলেই সবচেয়ে বেশি বিপদের আশঙ্কা থাকে।