• সবঙে রক্তের স্রোত! একাদশীর রাতে ধারাল অস্ত্র নিয়ে বাবা-মায়ের উপর ঝাঁপাল ছেলে, কোপের পর কোপ...
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ই গোপী: নৃশংস হত্যাকাণ্ডে স্তম্ভিত পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং। শুক্রবার গভীর রাতে খরপরা গ্রামে ধারাল অস্ত্র দিয়ে বাবা-মাকে কুপিয়ে খুন করল তাঁদেরই ছেলে। মৃত ভীম হাঁসদা (৪৫) এবং সম্বারী হাঁসদা (৪০)। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গোপাল হাঁসদা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। স্থানীয়দের দাবি, এদিন রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বচসা বাঁধে তার। 

    মুহূর্তের মধ্যেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। তারপরই ধারাল অস্ত্র হাতে বাবা-মায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ছেলে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু'জনের। পরদিন সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢুকে রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে শিউরে ওঠেন। খবর পেয়ে সবং থানার পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পলাতক ছেলের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। অঞ্চলে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অবিশ্বাস আর শোকের আবহে গ্রামবাসীদের একটাই প্রশ্ন— 'নিজের বাবা-মাকে এ ভাবে খুন করতে পারে কী করে ছেলে?'

    উল্লেখ্য, চলতি বছরের পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে ভয়ংকর ঘটনা ঘটে। বাবা-মায়ের গলার নলি কেটে বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় ছেলে। পরে তাকে অভিযুক্ত ছেলে হুমায়ুনকে গ্রেফতার করে পুলিস।

    জানা যায়, ছোট থেকে কোন কিছুর অভাব ছিল না হুমায়ুনের জীবনে।  অনেক সম্পত্তি। পড়াশুনাতেও ভালো। কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকত।  তার বিয়ে হয়েছিল কয়েক বছর আগে। ঘটনার কিছুদিন আগে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকায় তাকে নিজেদের কাছে নিয়ে আসেন বাবা মা। তারপর থেকে তীব্র মানসিক অবসাদে ভুগছিল সে। আর সেই থেকেই এই হাড়হিম কাণ্ড। মেমারির সেই ঘটনা গায়ে কাঁটা দিয়ে তুলেছিল রাজ্যবাসীর।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)