অরূপ লাহা: দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন চলার সময়ে মণ্ডপে থাকা মাইক খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মাইক ম্যানের। জলাশয়ে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন চলার সময়ে পুজো মণ্ডপে থাকা বৈদুতিক যন্ত্রে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল মাইক ম্যানের। শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার চকদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোপিকান্তপুর গ্রামের পুজো মণ্ডপে। মৃতর নাম অচিন্ত্য পাল (৫০)। তাঁর বাড়ি একই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শেরগড় গ্রামে। মা আতসীদেবীর মৃত্যুর তিন দিনের মাথায় ছেলে অচিন্ত্যর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গিয়েছে, অচিন্ত্য পাল পেশায় ছিলেন মাইক ব্যবসায়ী। অন্যান বছরের মতো এ বছরও তিনি চকদিঘীর গোপিকান্তপুর গ্রামের দুর্গা পুজায় মাইক ভাড়া দিয়েছিলেন। গ্রামের মানুষজন শুক্রবার দুপুরে মণ্ডপ থেকে দুর্গা প্রতিমা নামিয়ে তা বিসর্জনের জন্য এলাকার জলাশয়ে পৌঁছান। গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, এদিন দুপুরে গ্রামের সবাই প্রতিমা নিরঞ্জনে ব্যস্ত ছিলেন।
ওই সময়ে কাচা পরিহিত অবস্থায় অচিন্ত্য পাল মণ্ডপ ও আশেপাশে লাগানো মাইক খুলতে আসেন। ওই সময়ে কোনওভাবে তিনি মাইকের যন্ত্রে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন। মণ্ডপের কাছে পিঠে থাকা কয়েকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। তারা দ্রুত অচিন্ত্যকে জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসক অচিন্ত্য পালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, প্রতিমা নিরঞ্জন করতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল বছর একত্রিশের রেনুকা সরকারের। বালিগঞ্জ প্লেসের বাসিন্দা রেনুকা সরকার পাড়ারই পুজো আদি বালক সংঘের প্রতিমার শোভাযাত্রার সঙ্গে বেরিয়েছিলেন তিনি। যে ট্রলারে ঠাকুর ছিল সেই ট্রলারে বসেছিলেন রেনুকা সরকার।
শরৎ বোস রোড আসতেই ঘটে দুর্ঘটনা। ট্রলার থেকে পড়ে যান, তারপর প্রায় ৩০ মিটার তাঁকে ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতে নিয়ে যায় ট্রলার। এরপর ট্রলারে থাকা বাকিদের চেঁচামেচিতে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রলারটি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পলাতক গাড়ির চালক ও খালাসি। রেনুকা মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।