• তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক ‘মার’ বিজেপির! খানাকুলে তীব্র উত্তেজনা
    প্রতিদিন | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: ফের রাজনৈতিক উত্তেজনা হুগলির খানাকুলে। মাড়োখানায় তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা অঞ্চল সহ সভাপতি বরুণ মণ্ডলের উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। কিল, চড়, ঘুষির পাশাপাশি লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। যদিও খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের পালটা দাবি, এলাকায় মহিলাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন ওই তৃণমূল নেতা। তার জেরেই জনরোষের শিকার হন।

    আক্রান্ত তৃণমূল নেতাকে প্রথমে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি বরুণ মণ্ডল বলেন, “আমি বাড়ি যাচ্ছিলাম। ৮-১০ জন মিলে আমাকে ঘিরে ধরে। মারধর করে। কাউকে চিনতে পারিনি। মুখে বলছিল তৃণমূল করে। আর বেধড়ক মারধর করে। মেরে জলে ফেলে দেওয়ার কথা বলে।” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করেন জখম তৃণমূল নেতা। কয়েকজন মহিলাকে জোর করে ডেকে শ্লীলতাহানির ভুয়ো অভিযোগ করানো হয় বলেও অভিযোগ আক্রান্তের।

    স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের অঙ্গুলিহেলনেই এমন হামলার ঘটনা ঘটেছে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বিজেপি বিধায়কের দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যায় কয়েকজন স্কুলছাত্রী কেক কিনে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় ফাঁকা মাঠের ধারে তৃণমূল নেতা বরুণ মণ্ডলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন জড়ো হয়। ছাত্রীদের হেনস্তা করা হয়। তার প্রতিবাদে মারধর করা হয় ওই তৃণমূল নেতাকে। খানাকুল থানার ওসির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবে খানাকুলে জোর রাজনৈতিক চাপানউতোর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খানাকুল থানার পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)