• বিজয়া সম্মিলনী যোগ দিয়ে ভোটের বার্তা, বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
  • দুর্গা পুজো শেষ হতেই রাজ্যের রাজনৈতিক মঞ্চে শুরু হয়েছে জোরকদমে ভোটের প্রস্তুতি। পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে কালীঘাটে অনুষ্ঠিত হল দলের বিজয়া সম্মিলনী। আর সেখান থেকেই কার্যত ২০২৬ বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল।


    শুক্রবার দলীয় কার্যালয়ে হাসিখুশি, উৎসবমুখর পরিবেশে দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে মেতে উঠলেন অভিষেক। কারও হাতে মিষ্টির হাঁড়ি, কারও হাতে উপহার সবই পৌঁছে গেল তাঁর কাছে। কিন্তু আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্যেও তিনি থামলেন না রাজনৈতিক বার্তা দিতে। স্পষ্ট ভাষায় বললেন, বিসর্জন হবে ঠিকই, কিন্তু তা বাংলার মানুষের নয় বিসর্জন হবে বিজেপির জমিদারদের। এই এক লাইনেই যেন বুঝিয়ে দিলেন, পুজোর আনন্দ শেষ, এবার শুরু যুদ্ধের প্রস্তুতি। তৃণমূল সূত্রে খবর, এ বছর বিজয়া সম্মিলনী শুধু অনুষ্ঠান নয়, বরং রাজ্যজুড়ে জনসংযোগ ও সংগঠন শক্তিশালী করার অন্যতম বড় কর্মসূচি। অভিষেকের নির্দেশে ১৮ অক্টোবরের মধ্যেই প্রতিটি ব্লকে এই কর্মসূচি শেষ করতে হবে অর্থাৎ কালীপুজোর আগেই জেলা থেকে শহর পর্যন্ত তৃণমূলের ‘মানুষের দরজায় সরকার’ উদ্যোগ নতুন গতি পাচ্ছে।

    দলীয় নেতৃত্ব জানাচ্ছে, এই বছর বিজয়া সম্মিলনী আগের তুলনায় অনেক বৃহৎ পরিসরে হচ্ছে। প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ জন বক্তা মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়ক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। রবিবার থেকেই শুরু হচ্ছে ব্লক স্তরের সম্মিলনী। আবার ১৩ অক্টোবর ডায়মন্ড হারবারের আমতলায় বড়সড় বিজয়া সভায় নিজে যোগ দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি জেলা ও ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনী কৌশল ও সংগঠনের ভবিষ্যৎ রূপরেখা স্থির করবেন।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজয়া সম্মিলনীকে সামনে রেখে তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চায় সরকারের কাজ, উন্নয়ন প্রকল্প ও তৃণমূলের ভাবমূর্তি। শীর্ষ নেতৃত্বের ধারণা, উৎসবের মেজাজে যখন মানুষ একত্রিত, তখনই সবচেয়ে সহজ যোগাযোগ তৈরি হয় রাজনীতি ও আবেগের মধ্যে।

    অন্যদিকে, বিজেপিও বসে নেই। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন দলের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব ও বিপ্লব দেব। তাঁদের লক্ষ্য, সংগঠন ঝালিয়ে নেওয়া এবং প্রচারের নতুন রূপরেখা তৈরি। সম্প্রতি দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় শোনা গেছে, জয় মা দুর্গা ও জয় মা কালী-র স্লোগান, যা স্পষ্ট করে দিচ্ছে, বিজেপিও বাংলার ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক আবেগকে ছুঁয়ে ভোটযুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)