প্রাথমিকে দুর্নীতি, চূড়ান্ত চার্জশিট দিল CBI, মানিক ছাড়াও আর কাদের নাম আছে?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় অগ্রগতি হল আরও কিছুটা। চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে এই মামলার চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে নাম রয়েছে তিন প্রভাবশালী ব্যক্তির, প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি বিভাস অধিকারী এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তীর।
তদন্তকারীদের দাবি, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের অনিয়ম ও ঘুষ লেনদেনের জাল গড়ে উঠেছিল। সিবিআইয়ের হাতে থাকা নথি অনুযায়ী, ঘুরপথে অন্তত ৩৫০ জনকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছিলেন। তদন্তে উঠে এসেছে, এই বেআইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে এজেন্টের ভূমিকা পালন করেছিলেন বিভাস অধিকারী।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে মানিক ভট্টাচার্য সভাপতি থাকাকালীন, সচিব পদে ছিলেন রত্না চক্রবর্তী। তদন্তকারীদের মতে, দু’জনের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমেই নিয়োগ দুর্নীতির চক্র সক্রিয় ছিল। নিয়োগের ফাইল তৈরি থেকে অনুমোদন পর্যন্ত প্রক্রিয়ায় রত্নার সক্রিয় ভূমিকা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। বিভাস অধিকারীর নাম আগে থেকেই নানা বিতর্কে জড়ানো। সম্প্রতি নয়ডায় ভুয়ো থানা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। এরপর একে একে বেরিয়ে আসে তাঁর নানা বেআইনি কর্মকাণ্ডের তথ্য। বীরভূমের হরিপুরে প্রায় ৪৫০ বিঘা জমির উপর গড়ে তুলেছেন একটি আশ্রম। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে ও কম দামে জমি কিনেছেন তিনি। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই অর্থও দেননি জমিদাতাদের।
তদন্ত সূত্রের খবর, এই মামলায় ইডি ও সিবিআইয়ের একাধিক তলবেও হাজিরা দিয়েছেন বিভাস অধিকারী। বছর দেড়েক আগে কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটে তাঁর ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তখনও তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছিল। সেদিনই ওই ফ্ল্যাটটি সিল করে দেয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারীদের বক্তব্য, এই তিনজনের ভূমিকা বিচার প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। মামলার পরবর্তী শুনানিতে আদালতে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ পেশ করবে সিবিআই।