• বকেয়া ডিএ নিয়ে জটিলতার জেরে পিছোবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নয়া বেতন কমিশন?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
  • পঞ্চম বেতন কমিশনের অধীনে বকেয়া ডিএ নিয়ে চলছে মামলা। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। কালীপুজোর পরে এর রায়দান হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মাঝে সামনে এসেছে নয়া প্রশ্ন। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশন কি পিছিয়ে যাবে? এই আবহে এবার মুখ খুললেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক শ্রী মলয় মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি এক ভিডিয়ো বার্তায় মলয়বাবু বলেন, নতুন বেতন কমিশনের দাবি আরও একবার জোরালোভাবে উঠে এসেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক নিয়ে সরব হন তিনি।


    ডিএ মামলাকারী মলয়বাবুর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে মোট ৫৮ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে মাত্র ১৮ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। অর্থাৎ, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক ৪০ শতাংশ। এই আবহে তাঁর দাবি, এই বকেয়া ৪০ শতাংশ ডিএ না মেটানো পর্যন্ত রাজ্যে নতুন বেতন কমিশন চালু করা সম্ভব নয়। মলয় মুখোপাধ্যায় আরও দাবি করেন, ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তাদের নতুন বেতন কমিশন কার্যকর করার পথে এগোচ্ছে। তবে তাঁর আক্ষেপ, রাজ্যের সরকারি কর্মীরা এখনও তাঁদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত। এই আবহে তিনি প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন।

    এদিকে ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের হলফনামা জমা দিয়ে সম্প্রতি রাজ্য সরকার বলেছে, দেশের আরও ১২টি রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারি হারে মহার্ঘ ভাতা দেয় না। হলফনামায় আরও দাবি করা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে রাজ্য সরকার ৮০ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছে। সেই হলফনামায় রাজ্য জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার ২০০৬ সালে তার কর্মীদের ডিএ দিত ২ শতাংশ হারে। পরে তা বাড়তে বাড়তে ২০১৬ সালে এসে হয় ১২৫ শতাংশ। সেই হিসেবে কেন্দ্রীয় হারের সঙ্গে সমতুল হলেও তিন বছর পিছিয়ে আছে। তবে ডিএ দেওয়া হয় না, তা নয়। সরকার বলেছে, ডিএ পাওয়া সরকারি কর্মীদের ‘অধিকার’ হতে পারে। কিন্তু ‘মৌলিক অধিকার’ নয়। লিখিত জবাবে রাজ্য সরকার এবার জানাল, দেশে ১২টি রাজ্যে ওই কনজ্যুমার প্রাইস ইন্ডেক্স মেনে ডিএ দেওয়া হয় না।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)