• বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে শিলাবতী-কেঠিয়া, ফের বন্যার ভ্রুকুটি ঘাটাল-চন্দ্রকোনাতে
    এই সময় | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
  • নিম্নচাপের বৃষ্টি আর বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে শনিবার ভোর থেকেই হু হু করে জল বাড়ছে শিলাবতী নদীতে। ঝুমির চেহারা ভয়াল, বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে কেঠিয়াও। লক্ষ্মীপুজোর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোনার বিস্তীর্ণ এলাকায় প্লাবনের ভ্রুকুটি। পুজোর আগেই পাঁচ বার প্লাবিত হয়েছে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। এলাকার লোকজন বলছেন, ‘ভোগান্তির এখনও কিছু বাকি আছে?’

    শিলাবতী, কেঠিয়া, ঝুমিতে বিপদসীমার উপরে জল বইতে শুরু করায় ইতিমধ্যেই এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে মাঠে নেমেছেন মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস-সহ ঘাটাল ও চন্দ্রকোনার বিডিওরা। ঘাটালের মহারাজপুর, পান্না এবং চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের বাঁকা-সহ বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

    শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের ক্ষীরপাই এলাকায় কেঠিয়া নদী পরিদর্শন করেন মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস ও বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস। মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘কেঠিয়া নদীর বাঁকা পয়েন্টে এই মুহূর্তে জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি।’ ঘাটাল ও চন্দ্রকোনার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শিলাবতীতেও জল বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    হ্যান্ড মাইকে এ দিন এলাকাবাসীকে সতর্ক করতেও দেখা গিয়েছে মহকুমাশাসককে। সেই সঙ্গেই ঘাটাল ও চন্দ্রকোনার দু’টি ব্লকেও মাইকিং করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী ঘাটাল মহকুমায় ৩০টি ত্রাণ শিবির ফের চালু করার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই সেখানে পর্যাপ্ত খাবার ও ওষুধ মজুত করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

    মাটির বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সাপের উপদ্রব থাকায় সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের। নদীগুলিতে জলস্রোত বেশি থাকায় মাছ ধরা এবং স্নান করতে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে মহকুমাতে। নতুন করে এলাকা প্লাবিত হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ঘাটাল ও চন্দ্রকোনার কৃষকরা।

  • Link to this news (এই সময়)