কমানো হোক চতুর্থ সিমেস্টারের পাঠ্যক্রম, চিঠি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে
আনন্দবাজার | ০৪ অক্টোবর ২০২৫
উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষার জন্য পড়ার সময় মেরেকেটে তিন মাস। এত কম সময়ে পাঠ্যক্রম শেষ করা পড়ুয়াদের পক্ষে যথেষ্ট কঠিন। তাই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে গিয়ে চতুর্থ সিমেস্টারেরপাঠ্যক্রম কমানোর আর্জি জানালেন পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের একাংশ। এই মর্মে তাঁরা সংসদ-সভাপতিকে চিঠিও দিয়েছেন। একই সঙ্গে অভিভাবকদের আবেদন, চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষার সময়সীমা দু’ঘণ্টার বদলে কিছুটা বাড়ানো হোক। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অভিভাবকদের দাবি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। পুজোর পরেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
উল্লেখ্য, প্রথাগত পরীক্ষার বদলে চলতি বছর থেকেই সিমেস্টার পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তৃতীয় সিমেস্টারে অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যার পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা সময় এতই কম পেয়েছে যে, বেশির ভাগ পরীক্ষার্থীই এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যার পরীক্ষার সময়সীমা বাড়িয়ে ফের পরীক্ষা নেওয়া হোক, অথবা প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ১০ নম্বর গ্রেস দেওয়া হোক।’’
সৌরেনের মতে, তাঁদের ছেলেমেয়েরা সিমেস্টার পদ্ধতিতে এই প্রথম পরীক্ষা দিচ্ছে। নতুন এই ব্যবস্থায় অনেক ধরনের অসুবিধা হচ্ছে, যা আগে থেকে বুঝতে পারেনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদও। কিন্তু, এর জেরে পরীক্ষার ফল খারাপ হলে তার দায় ছাত্রছাত্রীরা নেবে কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
অভিভাবকদের একাংশের মতে, চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু, সেটির যা পাঠ্যক্রম, তা শেষ করার জন্য মাত্র তিন মাসের কিছু বেশি সময় পাবে পরীক্ষার্থীরা। এক অভিভাবকের অভিযোগ, ‘‘সেপ্টেম্বরের শেষে কলকাতায় অতি ভারী বৃষ্টি হল। অথচ, সেই কারণে রাজ্য জুড়ে পুজোর ছুটি এগিয়ে এল দু’দিন। ছুটি এগিয়ে আনার আদৌ কি কোনও প্রয়োজন ছিল? যে ভাবে বিভিন্ন সময়ে, নানা কারণে স্কুল ছুটি থাকছে, তাতে পাঠ্যক্রম শেষ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। সবার তো গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই। যারা শুধু স্কুল-নির্ভর পড়াশোনা করে, তারা কী ভাবে সিলেবাস শেষ করবে?’’
এই বিষয়ে সংসদ-সভাপতি বলেন, ‘‘পাঠ্যক্রম কমানো হবে কিনা, সে বিষয়ে সিলেবাস কমিটির সঙ্গে কথা বলতে হবে। এটা ঠিক যে, অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যার মতো কয়েকটি পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা সব প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য সময় কম পেয়েছে। পরীক্ষার সময়সীমা বাড়ানো হবে কিনা, সংসদের বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।’’