ফ্ল্যাটের নীচে খেলাধুলা, আর ঘরে ফেরাই হল না! বিকল লিফটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে, মর্মান্তিক পরিণতি নাবালকের ...
আজকাল | ০৫ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফ্ল্যাটের নীচে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে খেলাধুলা। আর বাড়ি ফেরাই হল না। বিকল লিফটে আটকে মর্মান্তিক পরিণতি হল ১২ বছরের এক নাবালকের। লিফটের আটকে থাকল ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দুই তলার মাঝে সেভাবে আটকেই লিফটের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে সে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় পুনেতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুনের পিমপ্রি চিঞ্চওয়াড় এলাকার রাম স্মৃতি সোসাইটির আবাসনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আচমকাই বিকল হয়ে যায় ওই আবাসনের লিফট। তাতেই আটকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ বছরের এক নাবালকের।
পিমপ্রি চিঞ্চওয়াড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের দমকল বিভাগ জানিয়েছে, তারা ওই আবাসন থেকে এমার্জেন্সি ফোন পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জানা যায়, সেই আবাসনের একটি লিফট বিকল হয়ে পড়ায়, সেখানে আটকে পড়ে ১২ বছরের ওই নাবালক। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই দ্রুত লিফট থেকে নাবালককে উদ্ধার করে তারা। তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, শেষরক্ষা হয়নি। নাবালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আবাসনের ওই ফ্ল্যাটটি চারতলা ছিল। কিন্তু লিফট ছিল বেশ পুরনো। তা মেরামত করা হয়নি বহুবছর। লোহার গেট ছিল ওই লিফটে। ফ্ল্যাটের নীচে খেলাধুলা করছিল ওই নাবালক। লিফটে উঠে উপরে যাচ্ছিল। আচমকাই তার এক পা আটকে যায়। দুই তলার মাঝে লিফট থেমে যায়। তখনই আর্ত চিৎকার শুরু করে ওই নাবালক।
প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনেই নাবালকের পরিবারকে জানায়। অনেকে মিলে চেষ্টা করলেও নাবালককে উদ্ধার করতে পারেননি। অবশেষে দমকলে খবর দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, লিফট বিকল হয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বহুবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও লিফট মেরামত করা হয়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গতবছর জুন মাসে হাসপাতালে লিফট বিভ্রাটের জেরে এক রোগী চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন। রুটিন চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়ে দু'দিন লিফটেই আটকে ছিলেন ওই রোগী। অবশেষে ৪৮ ঘণ্টা পর সোমবার লিফট খুলে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ ছিলেন ৫৯ বছরের ওই প্রৌঢ়।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার। কেরলের এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে রুটিন চেকআপের জন্য গিয়েছিলেন উলুরের বাসিন্দা রবীন্দ্রন নায়ার। কলেজের ওপি ব্লকের ফার্স্ট ফ্লোরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু প্রৌঢ়ের দাবি, লিফটটি ফার্স্ট ফ্লোরে যাওয়ার পরিবর্তে নিচে নেমে যায়। তারপরেই লিফট বন্ধ হয়ে যায়। বহু চেষ্টার পরেও লিফটের দরজা তিনি খুলতে পারেননি।
প্রৌঢ় জানিয়েছেন, তাঁর ফোন সুইচ অফ হয়ে গিয়েছিল। সাহায্যের জন্য দীর্ঘক্ষণ চিৎকার করছিলেন। তা সত্ত্বেও দু'দিন ধরে কোনও সাড়া পাননি। সোমবার সকালে রুটিন কাজের জন্য লিফট অপারেটর আসেন। লিফট খুলতেই প্রৌঢ়কে মেঝেতে বসে থাকতে দেখেন। এদিকে রবিবার পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ না মেলায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল পরিবার। কীভাবে প্রৌঢ় লিফটের মধ্যে আটকে পড়লেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।