ঘরে পড়ে রয়েছে বাবা-মার রক্তাক্ত দেহ, পলাতক ছেলে, সন্দেহ খুনের পরেই গা ঢাকা ...
আজকাল | ০৫ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাবা মাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের ১ নং দেভোগ অঞ্চলের খরপরা গ্রামে। মৃতরা ভীম হাঁসদা(৫৫) ও সম্বারী হাঁসদা(৪৮) বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, তদন্তকারী অফিসারেরা মনে করছেন, ওই অভিযুক্ত মানসিকভাবে অসুস্থ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পুত্র গোপাল হাঁসদা বিবাহিত। মা-বাবাকে নিয়ে থাকত। দিনমজুরের কাজ করতেন তার বাবা ও মা। পারিবারিক অশান্তির কারণে গোপালকে ছেড়ে বেশ কয়েক বছর আগে চলে যায় তার স্ত্রী। পরিবারের সদস্য সরস্বতী হাঁসদা জানান, অন্যদিন সকাল সকাল সকলে ঘুম থেকে উঠে পড়লেও শনিবার সকাল প্রায় ১০ পর্যন্ত বাড়ির দরজা বন্ধ থাকায় তাঁদের সন্দেহ হয়। এরপর একাধিকবার ডাকাডাকির পরেও গোপালের পরিবারের কারো সাড়া পাওয়া যায়নি। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা ধাক্কা দিয়ে দরজা খোলেন। তখনই ভয়ংকর দৃশ্য সকলের নজরে আসে। রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে গোপালের বাবা ভীমের মৃতদেহ। তাঁর পাশে মেঝেতে পড়ে রয়েছে মা সম্বারীর দেহ।
অভিযোগ, গোপাল রাতে বাবা ও মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে এলাকা থেকে গা ঢাকা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে এই অভিযুক্ত গোপাল এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাদের সন্দেহ। এ বিষয় সবং থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক (Oc) চঞ্চল সিংহ জানিয়েছেন, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্ত গোপাল হাঁসদাকে গ্রেপ্তার করাও হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মেমারিতে প্রৌঢ় দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকে হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁদের ইঞ্জিনিয়ার ছেলের। অভিযোগ, সন্ধেয় বনগাঁর মাদ্রাসায় ব্যাপক তাণ্ডব চালাল ওই অভিযুক্তই। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। কেন বাবা-মাকে খুনের পর প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে এসে হামলা চালাল যুবক, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। কী কারণে বাবা-মাকে খুন, আর কেনই বা বনগাঁয় হামলা, কারণ মোটেও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, মেমারি থেকে বনগাঁয় আসছেন ৬ তদন্তকারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদ্রাসায় পড়াশোনা চলছিল। সেই সময় এক ব্যক্তি হঠাৎই মাদ্রাসার ভিতর ঢুকে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই উপস্থিত শিক্ষক ও পরিচারকদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে ভর্তি করা হয়। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। অভিযুক্ত যুবককে আটক করে বনগাঁ থানার পুলিশ।
এদিকে, ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মাদ্রাসার সামনেই বনগাঁ-বাগদা সড়ক অবরোধ শুরু করে স্থানীয়রা। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত হন বনগাঁ থানার আইসি শিবু ঘোষ। আবার একদল উত্তেজিত জনতা বনগাঁ থানায় যায়। ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ৷ থানার টেবিল, চেয়ার ভাঙচুর করা হয় ৷ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এই ঘটনায় একাধিক পুলিশকর্মী জখম হন৷ তাঁদের চিকিৎসা চলছে।