পিয়ালী মিত্র: পুজোর সবে শেষ হয়েছে। উত্সবের রেশ কাটেনি এখনও। তারমধ্যেই দিনেদুপুরে থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে খুন ব্যবসায়ী। দোকান থেকে হাত-পা বাঁধা দেহ উদ্ধার করল পুলিস। শোরগোল বরানগরে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম শঙ্কর জানা। বরানগর থানার কাছেই শম্ভুনাথ দাস লেনে তাঁর সোনার দোকান। শনিবার দুপুরে দোকানের সামনে অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ জনকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এরপর তিন জন ঢোকেন দোকানে। দু'জন দাঁড়িয়ে ছিলেন বাইরে। এরপর গয়না কেনার অছিলায় দোকানে মালিকের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে শুরু হয় লুঠপাট! শেষে সিসি সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে খুন করা হয় দোকানমালিকে। বেঁধে দেওয়া হয় হাত-পা।
মৃতের ছেলে বাইরে থাকেন। মোবাইলে দোকানে সিসি ক্যামেরা বন্ধ দেখে সন্দে হয় তাঁর। কী ব্যাপার? দিল্লি থেকে কয়েকজন পরিচিতকে ফোন করেন তিনি। এরপরই ঘটনাটি জানাজানি হয়। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার সময়ে দোকানে শঙ্কর একাই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।
স্থানীয়দের জানিয়েছেন, পুজো সবে শেষ হয়েছে। দুপুরে আশেপাশের বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে দুষ্কৃতীরা। শম্ভুনাথ দাস লেনের ওই দোকানের উলটোদিকে বাড়ি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস।
এর আগে, পুজোর আবহে ডাকাতি হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের একটি সোনার দোকানে। দিনদুপুরে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না লুঠ করেছিল দুষ্কৃতীরা। দোকানটি তমলুকের মিলননগরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে একটি স্কুটার নিয়ে দোকানের সামনে এসে দাঁড়ান তিন জন। সকলের মুখ ঢাকা ছিল কাপড়ে। স্কুটার থেকে নেমেই আগ্নেয়াস্ত্র বার করে দোকানে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। এরপর চোখের নিমেষে লকার খুলে গয়না লুঠ করে নেয় তারা। সঙ্গে নগদ টাকাও।