• ভরদুপুরে ভয়ংকর কাণ্ড বরানগরে! ডাকাতিতে বাধা পেয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ‘খুন’
    প্রতিদিন | ০৫ অক্টোবর ২০২৫
  • অর্ণব দাস: ভরদুপুরে ভয়ংকর কাণ্ড বরানগরে। নিজের দোকানেই নৃশংসভাবে খুন হতে হল স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে। দোকানে ডাকাতি করতে এসে বাধা পেয়ে মালিককে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বরানগর থানার পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। দোকান ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের পাকড়াও করতে মরিয়া তদন্তকারীরা। দিনের আলোয় প্রকাশ্যে এই ঘটনা ঘটায় আতঙ্কে থমথমে এলাকা। দোকানের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ৩টে নাগাদ বরানগরের শম্ভুনাথ দাস লেন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। শংকর জানা নামে দোকান মালিক সেসময় নিজের দোকানেই ছিলেন। ক্রেতা সেজে ৬ জন দোকানে ঢোকেন। গয়নাগাটি দেখতে গিয়ে লুটপাট শুরু করে বলে অভিযোগ। তা বুঝতে পেরে বাধা দেন শংকরবাবু। জানা যায়, এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান মালিককে আক্রমণ করে তারা।  শংকরবাবুর মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে ডাকাতদল। তাতেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান তিনি। এরপর দোকানের গয়না লুট করে শাটার নামিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

    এত বড় ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বরানগর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ নারায়ণ বসু। তিনি জানান, ”দুপুর তিনটে নাগাদ এই দোকানে কয়েকজন আসে। কাচের দরজা ঠেলে ঢোকে। দরজার ওপারে আর কিছু দেখা যায়নি। কিছুক্ষণ পর আবার তারা বেরিয়ে যায়। এসময় উলটোদিকের বাড়ির সামনে যে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল, তাতে ওখানকার লোকজন দেখতে পান যে কয়েকজন দোকান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে আর দোকানের সামনে কিছু লোক আছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পাশের দোকানের মালিককে জানান। উনি গিয়ে দেখেন, দোকান ঘরের ভিতর শংকর জানা পড়ে রয়েছেন। আমার মনে হয়, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের উচিত নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে দোকানে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা।” পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রেকি করে তবেই এই দোকানে লুটের উদ্দেশে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। 

    বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলি ধর বলেন, ”প্রথমে দুজন দুষ্কৃতী দোকানের ভিতরে ঢুকে ক্রেতা সেজে মালিকের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। মালিক গয়না দেখানো শুরু করলে আরও দুজন দুষ্কৃতী দোকানের ভিতরে ঢুকে আচমকা ঘুষি, লাথি মারতে শুরু করে। তারপর কাপড় দিয়ে বেঁধে মারধর করে সোনার গয়না লুট করে পালিয়ে যায়। একজন বাইরে ছিল। কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমরা পেয়েছি। ফরেনসিক টিম এসেছে। গোয়েন্দা বিভাগও তদন্ত করছে। খুব শীঘ্রই এর কিনারা হবে।” পুলিশের অনুমান, দুপুর আনুমানিক তিনটে থেকে ২৫-৩০মিনিটের মধ্যে গোটা অপারেশন চালানো হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধ করার পাশাপাশি মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)