জোটে কেউই বড়ো ভাই নয়, ভোটের আগে নীতীশকে স্পষ্ট বার্তা বিজেপির
বর্তমান | ০৫ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিহারে ভোটের প্রাক্কালে এনডিএ জোটে হঠাৎ ঝড়। বিহার বিজেপির প্রদেশ সভাপতি দিলীপ জয়সওয়াল বললেন, এনডিএ জোটে কেউ আর বড় ভাই নয়। এবার ভোটে এনডিএ জোট লড়াই করছে। কোনও বড়ো ভাই ছোটো ভাই নেই। স্পষ্টই ইঙ্গিত নীতীশ কুমার সম্পর্কে। বিহারে যখনই নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিজেপির জোট বেঁধে নির্বাচন হয়েছে, তখনই বরাবর নীতীশ কুমারের দলকে বড় ভাইয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। জোট রাজনীতিতে যা দস্তুর। এবার আরও বেশি করেই এই মর্যাদা দেওয়ার কথা। কারণ বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারের টিকি বাঁধা আছে নীতীশ কুমারের হাতে। তিনি সুতো ধরে টান দিলেই সরকারের পতন ঘটবে। অতএব তাঁকে তুষ্ট করতে চেষ্টার কোনও কসুর করছে না বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অথচ যখন সবথেকে বেশি তুষ্ট করা দরকার, সেই তখনই খোদ রাজ্য সভাপতির এহেন বয়ানে নড়েচড়ে বসেছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ এই বিবৃতিকে পুঁজি করে ময়দানে নেমেছে আরজেডি। আরজেডি মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি বলেছেন, বিজেপি এবং জেডিইউয়ের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়ে গিয়েছে। আসলে বার্তা দেওয়া হচ্ছে ভোটে জয়ী হলেও এনডিএ জোটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পাবেন না নীতীশ কুমার। তিওয়ারির কটাক্ষ, বিজেপি এবং সংযুক্ত জনতা দল আন্দাজ করে নিয়েছে তাদের ফিরে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। এবার ভরাডুবি হবে এনডিএ জোটের। সরকার গড়বে মহাজোট।
যদিও বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হোসেন পালটা বলেছেন, আরজেডি হতাশা থেকে এসব কথা বলছে। কিন্তু একথা তিনি বললেও বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যথেষ্ট শঙ্কিত। কারণ নীতীশ কুমারের দলের পক্ষ থেকে এখনও এই বয়ানের কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। আর কয়েকদিনের মধ্যেই আসন সমঝোতা নিয়ে হবে চুড়ান্ত আলোচনা। অমিত শাহ, ধর্মেন্দ্র প্রধানরা বিহারে ডেরা বাঁধছেন। কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে শনিবার বিজেপি এবং জেডিইউ দাবি করেছে এক বা দু’দফায় এবার যেন ভোট হয়ে যায়। দিলীপ জয়সওয়ালের দাবি, আমাদের দু’দিন হলেও আপত্তি নেই। আরজেডিও বৈঠকে এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, বিগত বিধানসভা ভোটের সময় ছিল করোনাকাল। প্রায় আধা লকডাউনের আবহেই ভোট হয়েছে। সেই অবস্থায় তিন দফায় ভোট হয়েছিল। এবার আগ বাড়িয়ে বিজেপি কেন চাইছে এক দফায় ভোট করতে?