শ্রীনগর ও নয়াদিল্লি: গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় নিরাপত্তা আইনে (এনএসএ) আটক হওয়ার পর থেকেই যোধপুরের জেলে বন্দি লাদাখ আন্দোলনের মুখ সোনাম ওয়াংচুক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতি মেলায় অবশেষে শনিবার জেলে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলেন স্ত্রী গীতাঞ্জলি, ভাই ও লে অ্যাপেক্স বডির (এলএবি) আইনি উপদেষ্টা হাজি গুলাম মুস্তফা। স্ত্রী গীতাঞ্জলিকে তাঁদের আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়েই যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এরই মধ্যে এদিন ওয়াংচুক পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্র।
ওয়াংচুককে আটক করার সরকারি পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গীতাঞ্জলি। তার আগে স্বামীর মুক্তির দাবিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও লেখেন তিনি। সেই চিঠিতে গীতাঞ্জলির অভিযোগ ছিল রাষ্ট্র ও সরকারি এজেন্সিগুলি তাঁদের বিনা অপরাধে হেনস্তা করছে। ঘটনাচক্রে, সুপ্রিম কোর্টে গীতাঞ্জলির আবেদনের পরই যেভাবে ওয়াংচুকের পরিবারের সদস্যদের জেলে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হল, তা নিশ্চিতভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ। এই অবস্থায় শনিবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ওয়াংচুক পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এদিন এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা সবাই আপনার সঙ্গে আছি গীতাঞ্জলি। আশা করি, সুপ্রিম কোর্ট সোমবার আবেদন তালিকাভুক্ত করে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বেআইনিভাবে আটক ওয়াংচুককে আগামী সপ্তাহেই শুনানির মাধ্যমে মুক্তি দেবে। সত্যমেব জয়তে।’