নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: নাগরিক পরিষেবায় অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে পুজো কার্নিভাল বয়কট করলেন রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে পোস্টও করেন তিনি। তাঁর অভিযোগের তির রায়গঞ্জ পুরসভা এবং প্রশাসনের দিকে। পাল্টা পুরপ্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, হঠাৎ কিছু মনে হলে না জেনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেওয়া কোনও রাজনীতিবিদের ধর্ম নয়। আমরা কৃষ্ণ কল্যাণীর নেতৃত্বে কাজ করছি। বিধায়ক তো উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরকে দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। যেখানে নো-অবজেকশন দিতে বলেছেন, দেওয়া হয়েছে।
এর পরেই পুরপ্রশাসক যোগ করেন, ব্যক্তিগতভাবে বিধায়কের সম্পর্কে কিছু বলব না। দলকে জানিয়েছি। যা বলার দলই বলবে।
ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে রায়গঞ্জ শহরে নির্ধারিত সময়ের আগে শনিবার বিকেল তিনটে থেকে পুজো কার্নিভাল শুরু হয়। তার কয়েক ঘণ্টা আগে রায়গঞ্জের শিল্পপতি ও বিধায়ক কৃষ্ণ কার্নিভাল ‘বয়কট’ করার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেখানে বিধায়কের বক্তব্য, রায়গঞ্জ শহরের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পুরসভা ও প্রশাসনের চরম অবহেলার কারণে শহরের পরিচ্ছন্নতা ও পরিকাঠামো উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। জলবদ্ধতা, নোংরা রাস্তাঘাট, অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সকলের চোখে পড়ছে।
কৃষ্ণের অভিযোগ, সরকার রায়গঞ্জ শহরের উন্নয়নের জন্য নগরোন্নয়ন বিভাগ থেকে ৭ কোটি টাকা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে ১০ কোটি টাকা দিয়েছে। কিন্তু রায়গঞ্জ পুরসভা এবং প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। পুরসভার উদাসীনতা ও নিম্নমানের পরিষেবা দেখে শহরবাসী ক্ষিপ্ত। এই অবস্থায় শহরের উন্নয়ন ও নাগরিকদের সমস্যা উপেক্ষা করে শুধুমাত্র উৎসবের নামে প্রদর্শনীতে সামিল হওয়া অনুচিত।
এই পোস্টের পর শহরের কার্নিভাল মঞ্চে বিধায়ক হাজির না থাকলেও জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা ইসলামপুরের পুর চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল, কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রামনিবাস সাহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি পম্পা পাল, করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পাল, ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন, মন্ত্রী গোলাম রব্বানী সহ জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।