সংবাদদাতা, হবিবপুর: সেচ দপ্তরের তত্পরতায় ব্রাহ্মণী নদী সংলগ্ন এলাকায় ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেল সাতটি বাড়ি। বস্তায় মাটি ভরে বালি ও বাঁশ দিয়ে ভাঙন মোকাবিলা করা হয়েছে। তাছাড়া টাঙ্গন, হাঁড়িয়া ও ব্রাহ্মণী নদী সংলগ্ন বাঁধের বিভিন্ন অংশ সংস্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দপ্তর। যদিও বামনগোলা ব্লকের মদনাবতী, চাঁদপুর, গোবিন্দপুর মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে বোল্ডার দিয়ে বাঁধ সংস্কার করে ভাঙন সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হোক।
সেচ দপ্তরের এক জেলা আধিকারিক বলেন, নালাগোলায় মাটির বস্তা ফেলে নদীর পাড় বাঁধানো হয়েছে। উত্তর পারহবিনগরে বাঁধের একাধিক ফাটলে মাটি ভর্তি বস্তা, বালি ও বাঁশ দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। বটতলী সহ বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ও নদীর পাড় মেরামত করা হয়। উত্তর পারহবিনগরে বোল্ডার দিয়ে বাঁধ সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রতি বর্ষায় টাঙ্গন, হাঁড়িয়া, ব্রাহ্মণী নদীর জলে প্লাবিত হয় বামনগোলা ব্লকের বিভিন্ন এলাকা। উত্তর পারহবিনগর, বটতলী সহ বিভিন্ন এলাকায় নদীর জলস্তর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাঁধ ও পাড়ে ভাঙন শুরু হয়। ইতিমধ্যে কয়েকবার ভিটেমাটি হারাতে হয়েছে বাসিন্দাদের। প্রায় একমাস আগে নদীর জল বাড়তে শুরু করলে বটতলী গ্রামে ঢোকার প্রধান রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নালাগোলা এলাকায় নদীর পাড় ভেঙে যাওয়ার পর মেরামতের দাবি করছিলেন বাসিন্দারা। সেইমতো প্রত্যেকটি জায়গায় কাজ করেছে সেচ দপ্তর।
পারহবিনগরের বধূ অর্চনা মণ্ডল বলেন, প্রতি বছর বাঁধের বিভিন্ন অংশে ক্ষয়ক্ষতি হয়। বস্তা, মাটি দিয়ে সেগুলির সাময়িক সংস্কার করা হয়। অবিলম্বে পাথর দিয়ে পাড় বাঁধানো প্রয়োজন। সেটা না করলে টানা বৃষ্টি হলে ফের ভাঙন শুরু হবে।