• ভূতনিবাসীর স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার অন্তরায় ভাঙা রাস্তা
    বর্তমান | ০৫ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূতনিতে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। জলের স্রোতে রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। কোথাও আবার  রাস্তার চিহ্নটুকুও নেই। কোথাও ভরসা নৌকা। প্রশাসন রাস্তা সংস্কারে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিজেদের উদ্যোগে কাজ শুরু করেছেন বাসিন্দা। যদিও রাস্তা মেরামতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আমেনা খাতুন। তাঁর বক্তব্য, রাস্তার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বেশিরভাগ রাস্তা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দ্রুত সংস্কার হবে। কিছু জায়গায় ইতিমধ্যে মাটিও ফেলা হয়েছে। উত্তর চণ্ডীপুরের কিছু এলাকার রাস্তা প্রায় নিশ্চিহ্ন। তার কাজ  যাতে জেলা পরিষদের মাধ্যমে করা যায়, তার চেষ্টা চলছে। জল-যন্ত্রণা ভুলে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছেন মানিকচক ব্লকের ভূতনির বাসিন্দারা। তবে সমস্যা পিছু ছাড়ছে না তাঁদের। গঙ্গা ও ফুলহারের জল নামলেও বহু রাস্তা ভাঙা। জলের তোড়ে বহু রাস্তা ভেঙে বহু এলাকার যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন।

    যাতায়াতের সমস্যায় ভূতনির উত্তর চণ্ডীপুর, দক্ষিণ চণ্ডীপুর ও হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় দেড় লক্ষ বাসিন্দা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর চণ্ডীপুরের মানিকনগর, চম্পানগর, ওয়াহেদুল্লাটোলা, সামিরুদ্দিন টোলা, গোবর্ধনটোলা ও পুলিনটোলা। এই সমস্ত এলাকায় রাস্তা নেই বললেই চলে। রাস্তায় তৈরি হয়েছে বড়ো বড়ো গর্ত। তার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি জনপ্রতিনিধি এবং ব্লক প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ভূতনিবাসীর। বাধ্য হয়ে উত্তর চণ্ডীপুরের সামিরুদ্দিন টোলার বাসিন্দারা রাস্তা মেরামত শুরু করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ তারিকুল বলেন, বন্যা পরিস্থিতির কারণের ঢালাই রাস্তা ভেঙে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। বাঁশের সাঁকোয় যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হলেও বারবার দুর্ঘটনায় তা বন্ধ করা হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতকে মাটি ভরার কথা বললে পুজোর পর হবে বলে জানায়। বাধ্য হয়ে আমরা নিজেরাই রাস্তাটি চলাচলের যোগ্য করার চেষ্টা করছি।

    একইভাবে ভূতনির দক্ষিণ চণ্ডীপুরের কাটা বাঁধ এলাকায় এখনও পর্যন্ত সড়কপথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। টাকা দিয়ে নৌকার মাধ্যমে পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা। ভূতনির দিয়ারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র যাওয়ার রাস্তা একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যাতায়াত করতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। এমনকী দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে অ্যাম্বুলেন্সও। সমস্ত রাস্তা দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। 

     ভূতনির পুলিনটোলায় ভেঙেছে রাস্তা।
  • Link to this news (বর্তমান)