কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে চার হাতির মাঝে মহালক্ষ্মী অধিষ্ঠিতা, জোরকদমে চলছে পুজোর প্রস্তুতি
বর্তমান | ০৫ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহারে বড়োদেবী ও কাঠামিয়া মন্দিরে দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই মহালক্ষ্মীর পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মদনমোহন মন্দিরের ভিতরে কাঠামিয়া মন্দিরে মহালক্ষ্মীর পুজো অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার সন্ধ্যায় এই পুজো। সাধারণত লক্ষ্মী প্রতিমার পাশে তাঁর বাহন হিসাবে পেঁচাকে দেখা গেলেও, এখানে মহালক্ষ্মীর চার পাশে থাকে চারটি হাতি। শুঁড় উঁচিয়ে দাঁড়ানো এই চার হাতির মাঝে মা অধিষ্ঠিতা। মহালক্ষ্মী চর্তুভুজা। এখানে মায়ের গায়ের রং লালচে। শুধু মহালক্ষ্মীই নন, তাঁর পাশাপাশি ওই দিন এখানে একইসঙ্গে ইন্দ্রদেবের পুজোর রীতি রয়েছে। ইন্দ্রদেবও তাঁর বাহন হাতির উপরে অধিষ্ঠিত।
কোচবিহারের রাজ পরিবারের চালু করা প্রায় প্রতিটি পুজোতেই বলি প্রথা রয়েছে। বড়োদেবী, কাঠামিয়া মন্দিরের দুর্গাপুজোয় মোষ বলির প্রচলন আজও রয়েছে। তেমনি কাঠামিয়া মন্দিরের এই মহালক্ষ্মীর পুজোতেও বলি প্রথা রয়েছে। এক জোড়া পায়রা বলি দেওয়া হয়। বলি শেষে হয় যজ্ঞ। রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় মহালক্ষ্মীর পুজো হবে। এটি কোচবিহার রাজ পরিবারের পুজো। এই পুজোয় এক জোড়া পায়রা বলি দেওয়া হয়। সেই মাংস ভোগে মেশানো হয়। পরমান্ন, পঞ্চব্যঞ্জন ইত্যাদি ভোগে নিবেদন করা হয়। মহালক্ষ্মীর সঙ্গে এখানে ইন্দ্রের পুজো হয়।
মদনমোহন মন্দিরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, মহারাজাদের আমল থেকেই কাঠামিয়া মন্দিরে প্রাচীন রীতি মেনে মহালক্ষ্মীর পুজো হয়ে আসছে। মূর্তি বানানোর কাজ চলছে। পুরনো নিয়ম, রীতি মেনেই পুজো হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় মহালক্ষ্মীর পুজো শেষে মঙ্গলবার সকালে পুজো অন্তে ঘট বিসর্জন হয়। কাঠামিয়া মন্দিরের ভিতরেই বর্তমানে এই মহালক্ষ্মীর প্রতিমা নির্মাণের কাজ চলছে। দ্রুত কাজ শেষ করে প্রতিমা রং করা হবে। এরপর কোজাগরি লক্ষ্মী পূর্ণিমায় প্রাচীন নিয়ম মেনে এই মহালক্ষ্মীর পুজো অনুষ্ঠিত হবে। মহালক্ষ্মীর পুজো শেষ হলে এই কাঠামিয়া মন্দিরেই বড়োতারা মায়ের পুজোর জন্য প্রতিমা নির্মাণের কাজ ও অন্যান্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে।