• বামনডাঙা চা বাগান, খেরকাটা বস্তিতে গজরাজ ও চিতাবাঘের হামলা চলছেই
    বর্তমান | ০৫ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: হাতি ও চিতাবাঘের হানায় অতিষ্ঠ নাগরাকাটার বামনডাঙা চা বাগান ও খেরকাটা বস্তির বাসিন্দারা। মিড ডে মিলের লোভে বামনডাঙা চা বাগানের টন্ডু ৩নং প্রাইমারি স্কুলে শুক্রবার রাতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে তিনটি হাতির একটি দল। ওই চা বাগানে একটি বাড়িও ভাঙচুর করেছে হাতির দল। আবার একই বাড়ি থেকে একটি ছাগল তুলে নিয়ে গিয়েছে চিতাবাঘ। খেরকাটা বস্তিতে চিতাবাঘ ধরতে সাতটি খাঁচা  বসানো হয়েছে। কিন্তু হাতি এসে সেই খাঁচা বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে খাঁচাবন্দি হচ্ছে না চিতাবাঘ। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বাসিন্দারা। অন্যদিকে, শনিবার মাল ব্লকের লিস রিভার চা বাগানে ধান খেতে পাহাড়া দিতে গিয়ে হাতির হামলায় দু’জন জখম হয়েছেন। দু’জনকেই মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। 

    খেরকাটা বস্তির  বাসিন্দা শত্রুঘ্ন রায় ও অনিল ওরাওঁ  বলেন, এই বস্তিতে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে চিতাবাঘের হামলায়। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। প্রতিদিন কারও না কারও হাঁস মুরগি ছাগল তুলে নিয়ে যাচ্ছে চিতাবাঘ। চিতাবাঘ ধরার জন্য খাঁচা পেতে রাখা হয়েছে। কিন্তু হাতি এসে সেই খাঁচায় আক্রমণ করে দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে। তাই চিতাবাঘ ধরা পড়ছে না। আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি। সন্ধ্যা থেকেই আমরা সকলে গৃহবন্দি হয়ে কাটাচ্ছি। এদিকে হাতি গ্রামে ঢুকে ধান ও সবজি খেয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে।

    এদিকে, শনিবার গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে তিনটি হাতির দল এসে টন্ডু ৩নং প্রাইমারি স্কুলে ঢুকে মিড ডে মিল না পেয়ে স্কুলের সমস্ত জানালা দরজা ভেঙে দেয়। এনিয়ে স্কুলটিতে ৭০ বার হামলা চালিয়েছে হাতি। এদিকে এই চা বাগানেরই মডেল ভিলেজে রাতে প্রথমে একটি বাড়িতে হামলা চালায়। হাতি চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর একটি চিতাবাঘ এসে ওই বাড়ির খোয়াড়ে থাকা একটি ছাগলকে তুলে নিয়ে যায়। অন্যদিকে মাল ব্লকের সোনালী চা বাগানের দুই বাসিন্দা রঞ্জিত ওরাওঁ ও সিলিভেস্টার ওরাওঁ  লিস রিভার চা বাগানের কাছে জমিতে ধান পাহাড়া দিচ্ছিলেন। সেই সময় পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে আচমকাই হাতির বেরিয়ে এসে তাঁদের উপর হামলা চালায়। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)