নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: উমা বিদায়ে বিষাদের সুর। তার মাঝেই পুজো কার্নিভালের রঙে শনিবার রঙিন হয়ে উঠল হাওড়া জেলা। হাওড়া এবং উলুবেড়িয়ায় এই ভ্রাম্যমাণ আনন্দ উৎসব ঘিরে মানুষের মধ্যে দেখা গিয়েছে চোখে পড়ার মতো উৎসাহ।
উলুবেড়িয়ার কার্নিভালে ১৪টি পুজো অংশ নিয়েছিল। সেখানে বিদেশি অংশগ্রহণে যোগ হয়েছিল অন্য মাত্রা। কার্নিভালে অংশ নিয়েছিলেন তিন ফরাসি তরুণী। বিকেলে উলুবেড়িয়া পুরসভার সামনে থেকে রাজপথ দিয়ে যেতে শুরু করে একের পর এক পুজো। শোভাযাত্রা আসে মহকুমাশাসকের দপ্তরের সামনে। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। হাওড়া গ্রামীণ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এবং উলুবেড়িয়া পুরসভার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে কার্নিভাল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়, বিধায়ক বিদেশ বসু, নির্মল মাজি, হাওড়া গ্রামীণ জেলার পুলিশ সুপার সুবিমল পাল, উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক মানসকুমার মণ্ডল, উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে হাওড়া জেলার নিজস্ব লোকনৃত্য কালিকাপাতাড়ি প্রদর্শিত হয়। কার্নিভাল শেষে কমিটিগুলি গঙ্গায় প্রতিমা নিরঞ্জন করে। শোভাযাত্রা উপলক্ষ্যে উলুবেড়িয়া শহরের রাজপথে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। ছিল পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ।
অন্যদিকে হাওড়া শহরের পুজো কার্নিভালে অংশ নিয়েছিল সেরা দশটি পুজো। সন্ধ্যায় গ্র্যান্ড ফোরশোর রোডে অনুষ্ঠিত হয় ভ্রাম্যমাণ আনন্দ উৎসব। এই রাস্তা ধরে পুজো কমিটিগুলি তাদের শোভাযাত্রা সাজিয়ে সারিবদ্ধভাবে পরিক্রমায় শামিল হয়। গ্র্যান্ড ফোরশোর রোডের দু’পাশে তৈরি হয়েছিল মঞ্চ। কার্নিভালে হাওড়া শহরের আটটি, ডোমজুড় ও সাঁকরাইলের একটি করে পুজো অংশ নেয়। ক্লাবগুলির মধ্যে ছিল বালিটিকুড়ি নেতাজি বালক সংঘ, অরবিন্দ রোড পল্লিবাসী বৃন্দ, আরুপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, সালকিয়া সাধারণ দুর্গাপূজা, মধ্য মহিয়ারী সর্বজনীন দুর্গোৎসব, রামকৃষ্ণ স্বামীজি স্মৃতি সংঘ, পশ্চিম জগাছা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, জনতা কল্যাণ সংঘ, বাণীপুর নাগরিক সমিতি, নতুন পল্লি সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি। এর পাশাপাশি শ্রীরামপুরে অনুষ্ঠান করেন সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী।