১৬ বছরের শ্যালিকার সঙ্গে মাখো মাখো প্রেম জামাইবাবুর, হাতেনাতে ধরা পড়তেই বিচ্ছেদের হুমকি স্ত্রীকে, ভয়ঙ্কর পরিণতি ...
আজকাল | ০৫ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের আসরে দেখেই শ্যালিকার প্যেরেমে পড়েছিলেন জামাইবাবু। সেই প্রেমের সম্পর্কের কথা জানাজানিও হয়ে যায়। কিন্তু শ্যালিকার সঙ্গে প্যেরেমেসম্পর্ক ভাঙেননি জামাইবাবু। বাড়িতে আপত্তি জানাতেই একসঙ্গে চরম পদক্ষেপ করলেন তাঁরা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ জানিয়েছে, ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কানপুরে এক জলমগ্ন জমি থেকে এক কিশোরী ও এক যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই দুজনে নিখোঁজ ছিলেন। মৃতেরা হলেন, ২২ বছরের উমাকান্ত ও তাঁর ১৬ বছরের শ্যালিকা কিশোরী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কিশওয়া গ্রামে। ওই জমিতে কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়রা দেহ দুটি দেখতে পান। তাঁরাই পুলিশে খবর পাঠান। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কিশোরী ও উমাকান্ত আত্মঘাতী হয়েছেন একসঙ্গে। কারণ ওই জমি থেকেই কিছু রাসায়নিক পদার্থ ও গ্লাস পাওয়া গেছে। দুজনের দেহ পচাগলা অবস্থায় ছিল। কিশোরীর কয়েকটি হাড়গোড় বেরিয়ে গিয়েছিল।
পরিবারের তরফে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকেই উমাকান্ত নিখোঁজ ছিলেন। আর ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কিশোরীর কোনও খোঁজ মেলেনি। সম্ভবত কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল উমাকান্তের। ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের শরীর বিষ পাওয়া গেছে। দুজনেই সম্ভবত আত্মহত্যা করেছিলেন একসঙ্গে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, রাজপুরে ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী, দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন উমাকান্ত। তিন বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। ফুচকা বিক্রি করেন তিনি। উমাকান্তের স্ত্রী জানিয়েছেন, বিয়ের কয়েক মাস পরেই তাঁর বোনের সঙ্গে মাখো মাখো প্রেম শুরু হয় উমাকান্তের। যা ঘিরে দাম্পত্য কলহ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। এমনকী কিশোরীকে বাড়িতে থাকার কথাও বলেছিলেন তিনি। যা ঘিরে আপত্তি জানান উমাকান্তের স্ত্রী। রবিবারেও দুজনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি উমাকান্ত।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসেই ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কে আরও একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিল। শ্যালিকার প্রেমে হাবুডুবু যুবকের। তাতেই রেগে আগুন আত্মীয়রা। অবশেষে বিয়েবাড়িতে চলল পরপর গুলি। বিয়েবাড়ির আসর থেকে উদ্ধার ৩২ বছরের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ। পরিচিতিদের অভিযোগ, শ্যালিকার প্রেমে পড়ায় যুবককে গুলি করে খুন করেছেন তাঁর আত্মীয়রাই।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, জেবা মুকুন্দপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন ৩২ বছরের অমিত ত্রিবেদী। তাঁর এক আত্মীয়ের বিয়ে ছিল শুক্রবার রাতে। বিয়ের শোভাযাত্রায় হঠাৎ সানাইয়ের সুরের বদলে গুলির আওয়াজ শুনতে পান সকলে। কিছুক্ষণ পর সকলেই দেখেন, একপাশে পড়ে রয়েছে অমিতের গুলিবিদ্ধ দেহ। তখনই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
অমিতের পরিচিতরা পুলিশকে জানিয়েছেন, দু-তিন বছর আগে অমিতের স্ত্রী মারা যান। এরপর মৃত স্ত্রীর এক বোনের প্রেমে পড়েন অমিত। সেই সম্পর্ক ঘিরে পরিবারে অশান্তিও হয়েছিল। শ্বশুরবাড়িতে তারপর থেকে আর যেতেন না।
অমিতের শ্বশুরবাড়ি জেবা মুকুন্দপুর গ্রামেই। স্থানীয়দের অনুমান, অমিতের আসার খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাই খুনের পরিকল্পনা করেন। এই ঘটনার পর অভিষেক ও অমন নামের দুই যুবক পলাতক। অভিষেক অমিতের স্ত্রীর তুতো ভাই। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিষেক গুলি করে অমিতকে খুন করেছেন। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করে, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।