দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই কি প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে! সমাজমাধ্যমে দলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পরে সাংগঠনিক রদবদলে গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
সাংগঠনিক রদবদল পর্ব না-মিটতেই রাজ্য দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণালের সাম্প্রতিক অবস্থানে এই চর্চা শুরু হয়েছে শাসক দলে। শুধু তা-ই নয়, এই চর্চায় নাম জড়িয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও। তবে কুণাল সংগঠন নিয়ে অসন্তোষের কথা বললেও ব্রাত্য তা করেননি। দলীয় সাংসদ দেবের সিনেমা নিয়ে ‘আলোচনা’য় কুণালের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। দলের অনেকে মনে করছেন, সিনেমা নয়, সব শিক্ষক সংগঠন থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় ঘুরিয়ে ‘অসন্তোষ’ জানিয়েছেন ব্রাত্য।
টানাপড়েনের এই পর্বে শনিবার আলাদা মাত্রা যোগ করেছেন কুণাল। নিজেকে এ দিনও একাধিক বার দলের সৈনিক হিসেবে দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের কথাই উল্লেখ করেছেন। তবে দলের অনেকেই মনে করছেন, তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ বিতর্কের সময়ে অভিষেককে ‘সেনাপতি’ হিসেবে চিহ্নিত করে তা প্রচারে এনেছিলেন কুণালই। আচমকা তিনিই অভিষেককে এড়িয়ে দলের কথা বাইরে আনছেন কেন? কুণালের জবাব, ‘‘বিষয়টি সে রকম নয়।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে জেলায় অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সে ক্ষেত্রে দায়িত্ব বন্টনের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন ছিল।’’ শুধু তা-ই নয়, দল ও সরকারের সঙ্কটে যাঁরা আড়ালে ছিলেন, তাঁদেরই নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি।
এ সবের মধ্যেই অভিনেতা-সাংসদ দেবকে নিয়ে কুণালের তোলা সাম্প্রতিক প্রশ্নে মুখ খুলেছেন ব্রাত্য। তাতেই মনে করা হচ্ছে, ক্ষোভ- অসন্তোষের মধ্যে কুণালের পাশে দাঁড়িয়ে ব্রাত্য আসলে দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের ‘অবস্থান’ স্পষ্ট করতে চেয়েছেন।