চোখের সামনে প্রেমিকের হাত ধরে পালাল স্ত্রী, অভিমানে ৪ খুদে সন্তানকে নিয়ে যুবক যা করলেন, মাথায় হাত পরিবারের ...
আজকাল | ০৫ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের ১৫ বছর পর সংসারে ভাঙন। আচমকাই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন স্ত্রী। তাও আবার স্বামীর চোখের সামনে দিয়ে। স্ত্রীর উপর অভিমানে চার সন্তানকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের। এখনও যুবক ও তাঁর চার সন্তানের কোনও খোঁজ মেলেনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলায়। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, এক যুবক তাঁর চার সন্তানকে নিয়েই যমুনা নদীতে ঝাঁপ দেন। দিন কয়েক আগেই যুবকের স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান। এরপরেই সন্তানদের নিয়ে চরম পদক্ষেপ করলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে সলমন নামের ওই যুবক স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল অশান্তি করেন। মূলত বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়েই স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। এরপরই একটি ভিডিও রেকর্ড করেন সলমন। যেটি তাঁর বোনকে তিনি পাঠিয়েছিলেন। সেই ভিডিওতেই চরম পদক্ষেপ করার কথা উল্লেখ করেন সলমন। পাশাপাশি এও জানান, এই চরম পদক্ষেপের জন্য স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক দায়ী।
ভিডিওটি পেয়েই তড়িঘড়ি করে থানায় ছুটে যান সলমনের বোন। পুলিশে জানাতেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এখনও পর্যন্ত সলমন ও তাঁর চার সন্তানের খোঁজ মেলেনি। সলমনের চার সন্তান নাবালক। তাদের মধ্যে একজনের বয়স আট মাস। শুক্রবার রাত থেকেই তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ১৫ বছর আগে সলমন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে থেকেই দাম্পত্য কলহ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। নিত্যদিন স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হত তাঁর। মূলত স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরেই অশান্তি হত। শুক্রবার রাতেও তুমুল বচসা হয়। এরপরই প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রী পালিয়ে যান। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যমুনা নদীতে চার সন্তানকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন সলমন।
প্রসঙ্গত, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে আরও এক নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটেছিল দিন কয়েক আগেই। তিন বছরের কোলের মেয়েকে ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়েছিল মা। মেয়ে ঘুমিয়ে পড়তেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হল। ঘুমন্ত শিশুকে কোলে নিয়ে লেকের ধারে ঘুরতে চলে যান। এরপর সেই ঘুমন্ত শিশুকন্যাকে ভাসিয়ে দেন লেকের জলে। লেকে ডুবে শেষ হয়ে গেল তিন বছরের শিশুটি। এরপরই ঘাতক মা বললেন, তাঁর শিশুকন্যা নিখোঁজ!
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের আজমেরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক তরুণীর স্বামীর সঙ্গে থাকেন না। আজমেরে প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর সঙ্গেই থাকতে তিনি বছরের মেয়ে। কিন্তু প্রেমিক তাঁর মেয়েকে পছন্দ করতেন না। বারবার সন্তানকে নিয়ে খোঁটা দিতেন। এই পরিস্থিতিতে রাগের মাথায় মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা করেন তরুণী।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে ওই লেকের ধারে যুগলকে দেখা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অঞ্জলি নামের তরুণী জানান, তিনি বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথে মেয়েকে আর খুঁজে পাচ্ছেন না। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও মেয়ের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতেই তরুণীর কোলে তাঁর মেয়েকে দেখা গিয়েছিল। মেয়েকে নিয়ে তিনি লেকের ধারেও যান। এরপর রাত দেড়টা নাগাদ মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে তরুণীকে। তখনই সন্দেহ হয় পুলিশের। বুধবার সকালে লেকের ধারে শিশুকন্যার নিথর দেহ দেখতে পায় পুলিশ। দীর্ঘ জেরার পর তরুণী কান্নায় ভেঙে পড়ে জানান, তিনিই ওই লেকে সন্তানকে ভাসিয়ে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে অঞ্জলি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঘটনার দিন রাত দুটো নাগাদ আকাশ নামের তাঁর প্রেমিককে সন্তানের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি জানিয়েছিলেন। এই ঘটনায় আকাশ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।