ব্যাপক বৃষ্টিতে জলমগ্ন জলপাইগুড়ির বহু এলাকা, বিপর্যস্ত জনজীবন, বিঘ্ন ট্রেন চলাচল
বর্তমান | ০৫ অক্টোবর ২০২৫
একদিকে দার্জিলিং ও সিকিম পাহাড়ে প্রবল বর্ষণ। অন্যদিকে ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি। আর এরই জেরে চরম বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ি জেলা ও ডুয়ার্স। বানারহাট, গয়েরকাটা ও নাগরাকাটা সহ সংলগ্ন বনবস্তিগুলির পরিস্থিতি ভয়াবহ। জলবন্দি কয়েক হাজার বাসিন্দা। মানুষজন বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয়ের খোঁজ করছেন। ভেসে গিয়েছে একাধিক রাস্তা ও সেতু। ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। দুর্গতদের উদ্ধারে নামানো হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।পাহাড়ে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় কালীঝোরা ও গজলডোবা ব্যারেজ থেকে অন্যদিনের তুলনায় অনেক বেশি জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে মাথায় হাত নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা নাগরাকাটার। সেখানে কয়েকশো বাসিন্দা জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। খাবার ও পানীয় জল পৌঁছে দিতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলের। বামনডাঙা চা বাগানের শ্রমিকরা বাগানের ফ্যাক্টরিতে আশ্রয় নিয়েছেন। ক্রান্তি ব্লকের চ্যাংমারি পঞ্চায়েতের সাহেববাড়ি এলাকায় বহু বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া দক্ষিণ সুকান্তনগর জলমগ্ন। একই অবস্থা বিবেকানন্দপল্লির। সেখানে তিস্তা নদীর জল ঢুকছে। বাসিন্দারা গবাদিপশু সহ আশ্রয় নিয়েছেন তিস্তার বাঁধে। জেলাজুড়ে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে জেলা প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। তিস্তায় দোমোহনী থেকে মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত লাল সতর্কতা জারি। লাল সংকেত রয়েছে জলঢাকা নদীতেও। বানারহাট ও ক্যারন সেকশনের মধ্যে লাইনে জল উঠে যাওয়ায় বাতিল করা হয়েছে বেশকিছু ট্রেন। কিছু ট্রেন ঘুরপথে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।জলপাইগুড়ি পুর এলাকার বেশ কিছু ওয়ার্ডও জলমগ্ন। পরেশ মিত্র কলোনি, ইন্দিরা কলোনি সহ বিভিন্ন এলাকায় কোথাও গোড়ালি পর্যন্ত, কোথাও আবার হাঁটু পর্যন্ত জল। জলপাইগুড়ি পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার স্বরূপ মণ্ডল বলেন, শহর লাগোয়া খড়িয়া পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জল ঢুকছে। ফ্লাড রেসকিউ সেন্টার খোলা হয়েছে।