জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: বৃষ্টিতে বিপর্যয়। ভাসছে উত্তরবঙ্গ। প্রবল দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৭। 'অকস্মাৎ এই বিপুল বৃষ্টিতে এবং নদীর বন্যায় উদ্ভূত পরিস্থিতি'তে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। ফেসবুকে পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, 'কাল রাত্রে উত্তরবঙ্গে কয়েক ঘন্টার বিপুল বৃষ্টি হওয়ায় এবং বাইরে থেকে নদীর জল আমাদের রাজ্যে বিপুল পরিমাণ এসে পড়ায় বিশেষত উত্তরবঙ্গে উদ্বেগজনক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গতকাল রাত্রে উত্তরবঙ্গে ১২ ঘন্টায় ৩০০ মিলিমিটারেরও বেশি হঠাৎ বৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি সংকোশ নদী এবং সাধারণভাবে সিকিম ও ভুটান থেকে বিভিন্ন নদীর বিপুল পরিমাণ জল এ রাজ্যে চলে আসায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়'।
ফেসবুকে পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'অকস্মাৎ এই বিপুল বৃষ্টিতে এবং নদীর বন্যায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাদের কয়েকজন ভাই- বোন আমরা হারিয়েছি বলে খবর এসেছে। এই দু:সংবাদে আমি আন্তরিকভাবে মর্মাহত। প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারবর্গকে আমি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। প্রত্যেক পরিবারের কাছে আমাদের সহায়তা অবিলম্বে পৌঁছে যাবে'।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'জলের ভয়ংকর তোড়ে দুটি লোহার সেতু ভেঙ্গে গিয়েছে, প্রচুর রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে, বিশেষত মিরিক, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, মাটিগাড়া এবং আলিপুরদুয়ার থেকে আমাদের কাছে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে। আমি গতকাল রাত থেকেই পরিস্থিতির উপরে টানা নজর রেখেছি। ইতিমধ্যেই মুখ্য সচিব, পুলিশের ডিজি, উত্তরবঙ্গের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করেছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেই মিটিংয়ে ছিলেন গৌতম দেব ও অনিত থাপা। আমি সর্বক্ষণ সকলের সঙ্গে যোগাযোগে আছি এবং এই সূত্রে আগামীকাল নিজেই মুখ্যসচিবকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ যাচ্ছি'।
এদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উত্তরবঙ্গে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, 'যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন। আমাদের পুলিশ আপনাদের উদ্ধার করে নেবে। এই উদ্ধার সংক্রান্ত খরচ আমাদের এবং পর্যটকদের এই বাবদ উদ্বিগ্ন না হবার জন্য অনুরোধ করছি'।