‘শান্তি এবং ঐক্য বজায় রাখুন’, জেল থেকেই অহিংসার বার্তা ‘গান্ধীবাদী’ সোনমের
প্রতিদিন | ০৫ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে ‘গণবিক্ষোভে’ উসকানির অভিযোগে আন্দোলনের প্রধান মুখ তথা সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আপাতত তাঁর ঠাঁই হয়েছে রাজস্থানের যোধপুর জেলে। এই পরিস্থিতিতে কারাগারে বসেই অহিংসার বার্তা দিলেন গান্ধীবাদী ‘র্যাঞ্চো’। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “লাদাখে শান্তি এবং ঐক্য বজায় রাখুন।” পাশাপাশি, গান্ধীর অহিংসার পথে হেঁটে রাজ্যের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোনম একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো আছি। সকলেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাঁরা প্রার্থনা করছিলেন। তার জন্য ধন্যবাদ। এই আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। পাশাপাশি, যারা আহত এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের জন্য আমি প্রার্থনা করছি। যে চার আন্দোলনকরীর মৃত্যু হয়েছে, তার একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত। যদি তা না হয়, তাহলে আমি জেলে থাকতে প্রস্তুত।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদার দাবি-সহ একাধিক ইস্যুতে আমি লাদাখের জনগণের পাশে আছি। আমি জনগণকে শান্তি ও ঐক্য বজায় রাখার এবং শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করছি। এই আন্দোলন যেন সত্যিকারের গান্ধীবাদী অহিংসার পথে হয়।’
লাদাখে ‘গণবিক্ষোভে’র ২ দিন পর আন্দোলনের প্রধান মুখ তথা পরিবেশকর্মী সোনমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের উসকানি এবং হিংসায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা ছিল সোনমের। সেই সাংবাদিক সম্মেলনের ঠিক পাঁচ মিনিট আগে তিনি গ্রেপ্তার হন। সূত্রের খবর, গ্রেপ্তারির পরই সোনমকে লাদাখ থেকে সরিয়ে রাতারাতি নিয়ে যাওয়া হয় লেহ থেকে ১৪০০ কিলোমিটার দূরে রাজস্থানের যোধপুরে।
সোনমের গ্রেপ্তারির পর লেহ-তে যাতে অশান্তি না ছড়ায় সেটা নিশ্চিত করতে শহরের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কড়া পুলিশি প্রহরায় রাখা হয়েছে গোটা শহরকে। জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই আইনে সরকার স্রেফ সন্দেহের বশে সন্দেহভাজনকে দিনের পর দিন আটকে রাখতে পারে। মেলে না জামিনও। সোনমের সঙ্গেও তেমনটা হতে পারে বলে তাঁর অনুগামীদের আশঙ্কা।