• প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা দেখলাম! দার্জিলিংয়ে হোটেলবন্দি, জানি না কবে নামতে পারব
    প্রতিদিন | ০৫ অক্টোবর ২০২৫
  • অন্বেষা অধিকারী: লাগাতার বৃষ্টি। একাধিক জায়গায় ধস। বন্ধ রাস্তা। বন্ধ দোকানপাটও। যেগুলি খোলা, তাও সুরক্ষার খাতিরে বন্ধ করে দিচ্ছে পুলিশ। হোটেলগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। খবর পাচ্ছি মৃত্যুর। সব ট্যুরিস্ট স্পট বন্ধ। প্রকৃতির রোষে পাহাড়ের রানির আজ, দুয়োরানির মতো দশা! এ আমার চেনা শৈল শহর নয়। ছোটবেলার দার্জিলিংয়ের সঙ্গে একে মেলাতে পারছি না। বেড়াতে এসে হোটেলবন্দি হয়ে রয়েছি।

    টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ, ঘুম মনাস্ট্রি, চিড়িয়াখানা, এইচএমআই, পিস প্যাগোডা, জাপানিজ টেম্পল, চা বাগান। ঘোরার তালিকা লম্বা ছিল। কিন্তু একটাও দেখা হয়নি। সকালে টাইগার হিলে ঢুকতে দেয়নি। যেগুলি খোলা ছিল তা বন্ধ করছে প্রশাসন।

    জানতাম বৃষ্টি হবে। তবে দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি প্রকৃতির এই তাণ্ডবলীলা দেখব। শুনলাম দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার প্রধান ব্রিজ মাঝখান থেকে ভেঙে গিয়েছে। ফলে শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত বিছিন্ন শৈল শহরের। যাঁরা নিউ জলপাইগুড়িতে নামছেন,তাঁরা তো আসতেই পারবেন না। আমরাও জানি না কবে নামতে পারব। অনেক জায়গায় ভূমিধস নেমেছে। একাধিক রাস্তা বন্ধ। ঘুরপথে নামার জন্য ৪ হাজার টাকার গাড়ি ৮ হাজার টাকা চাইছে।

    রবিবার সকালে বৃষ্টিটা কম থাকায় বাইরে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও জায়গায় যেতে পারিনি। ম্যালের কাছে হোটেল নিয়েছি। সেখানে কার্যত বন্দি অবস্থায় রয়েছি। শুনছি আরও বৃষ্টি হবে। আকাশের অবস্থা মোটেও ভালো না। দুর্যোগের মেঘ পাহাড়ের কোলে। সিঁদুরে মেঘ দেখে ব্যবসায়ীরাও দোকান বন্ধ করছেন। আমার মতো অনেকে আটকে রয়েছে দার্জিলিংয়ে। এযেন বন্দির শহর!
  • Link to this news (প্রতিদিন)