বাড়িতেই স্ত্রী-ছেলেকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, পলাতক যুবকের খোঁজে পুলিশ
প্রতিদিন | ০৫ অক্টোবর ২০২৫
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ঘরে ও বারান্দায় চাপ চাপ রক্ত! নিজের বাড়িতেই উদ্ধার হল মা ও নাবালক ছেলের রক্তাক্ত মৃতদেহ। ঘটনার পর থেকে পলাতক মৃতার স্বামী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার চণ্ডিপুর এলাকায়। মৃতদের নাম মানোয়ারা বিবি ও তাঁর সাত বছরের সন্তান আনোয়ার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ওই পরিবারের বাড়ি জামালপুরে। ফিরোজ হালদার স্ত্রী মানোয়ারা ও আনোয়ারকে নিয়ে নিজেদের বাড়িতেই থাকতেন। আজ, রবিবার সকাল থেকেই ওই বাড়িতে কারও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। ওই বাড়িতে গিয়ে প্রতিবেশীরা আঁতকে ওঠেন। দেখা যায় ঘরে ও বারান্দায় রক্ত! মা ও ছেলের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঢোলাহাট থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে দু’জনকে। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ফিরোজ হালদারের খোঁজ মিলছে না ঘটনার পর থেকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবক নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে ‘খুন’ করে পলাতক। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। মন্দিরবাজারের ডিএসপি সুবীরকুমার বাগ জানিয়েছেন, শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে স্বামীই স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করেছে। অভিযুক্ত স্বামী ফিরোজ হালদার পলাতক।
কিন্তু কী কারণে এই খুন? স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কি অশান্তি ছিল? নাকি স্বামী-স্ত্রী, কেউ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল? সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।