সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগামিকাল, সোমবার উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে যাবেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। দুপুর তিনটের মধ্যে উত্তরবঙ্গে পৌঁছে যাবেন তিনি। এক সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি নিজে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের ডিএমদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেছেন। দিয়েছেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ।
শনিবার রাতভর প্রবল বর্ষণ হয়েছে উত্তরবঙ্গে। একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। মৃত একাধিক। বন্ধ বহু রাস্তা। জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। হোটেলগুলিতে আটকে রয়েছেন পর্যটকরা। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নজর রাখছেন পরিস্থিতি উপর। শনিবার উত্তরের জেলাগুলির ডিএমদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দিয়েছেন একাধিক নির্দেশ। পর্যটকদের হোটেল থেকে বেরতে বারণ করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহয়তা ও চাকরি দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। শনিবার একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এটি একটি দুর্যোগ। দুর্যোগে সবার পাশে থাকা উচিত। আগামিকাল আমি আর সিএস (মুখ্যসচিব) উত্তরবঙ্গ যাচ্ছি। আশা করছি দুপুর তিনটের মধ্যে ওখানে পৌঁছে যাব।”
সোশাল মিডিয়ায় এই দুর্যোগ নিয়ে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘গত রাতের কয়েক ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টি ও বাইরে থেকে আমাদের রাজ্যের নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘ দুর্যোগের ফলে আমরা কিছু ভাইবোনকে হারিয়েছি। আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই। পরিবারগুলিকে সব রকম সহায়তা করা হবে।’ তিনি পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন।
I am deeply worried and concerned that several areas in both North Bengal and South Bengal have been flooded due to sudden huge rains within a few hours last night as well as due to rush of excessive river waters in our State from outside.
Yesterday night there was sudden…
বৃষ্টিতে উত্তাল তিস্তা, মহানন্দা, জলঢাকা, তোর্সা। তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। কালিম্পংয়ের তিস্তা বাজার নদীর জলে তলিয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। মিরিক ও শিলিগুড়ির সংযোগকারী দুধিয়ায় সেতু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৯ মাইল এলাকায় বালুওয়াখানি তিস্তার জলে ভেসেছে। দার্জিলিং-শিলিগুড়ি হিল কার্ট রোড দিলারামে অবরুদ্ধ হয়েছে। এদিকে শিলিগুড়ির পোড়াঝাড়ে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভয়ানক রূপ নিয়েছে ফুলবাড়ির মহানন্দা ক্যানেল। নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন গলগলিয়া প্লাবিত হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রকৃতির রোষে উত্তরবঙ্গ।
অন্যদিকে, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের দলীয় কর্মী ও স্থানীয় নেতাদের পথে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্যোগের সময় মানুষকে সাহায্য করার কথা বলেছেন তিনি।