আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইন্টারনেটের দুনিয়ায় কখন কী ভাইরাল হয়, তা বলা মুশকিল। চোখ কপালে ওঠার মতো দৃশ্যের সাক্ষী থাকেন নেটিজেনরা। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও সমাজমাধ্যমে শোরগোল ফেলেছে। উত্তরপ্রদেশের বেরিলির ওই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি মাথায় শিঙাড়ায় ভর্তি একটি বিশাল ট্রে নিয়ে বাইক চালাচ্ছেন। ভাবছেন, এতে আর আশ্চর্য কী? আশ্চর্যের বিষয় হল, বেরিলির ব্যস্ত রাস্তায় তিনি সম্পূর্ণ হাত ছেড়ে ওই ট্রে মাথায় নিয়ে বাইক ছোটাচ্ছেন।
ইনস্টাগ্রামে এক পথচারীর শেয়ার করা ওই ভিডিওয় দেখা যায়, লোকটি এমন শান্তভাবে বাইক চালিয়ে যাচ্ছেন, যেন মাধ্যাকর্ষণকে হার মানানো এই কেরামতি তাঁর নিত্যদিনের অভ্যাস। ভিডিওয় এক জায়গায় রাস্তার মোড়ও পড়ে। কিন্তু চালক অত্যন্ত সাবলীল এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বাইকটি এগিয়ে নিয়ে যান।
এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই কমেন্ট বক্সে প্রতিক্রিয়ার ঝড় ওঠে। নেটিজেনরা মজাদার সব মন্তব্য করা থেকে নিজেদের আটকাতে পারেননি। কেউ ওই ব্যক্তির অবিশ্বাস্য ব্যালান্স এবং আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করেছেন, তো কেউ আবার খোলা খাবারের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এক জন মন্তব্য করে বলেছেন, "আমি তো শিঙাড়ার গায়ে লেগে থাকা ধুলোর কথা ভাবছি।" অন্য এক জন লিখেছেন, "আত্মবিশ্বাস তো একেবারে তুঙ্গে!" তৃতীয় এক জনের মতে, "এতে বোঝা যাচ্ছে, রাস্তাটি বেশ ভাল। তাই শিঙাড়া পড়ে যাওয়ার ভয় নেই ভদ্রলোকের।" এক ব্যক্তি আবার লিখেছেন, "ব্যালান্স তো দারুণ, কিন্তু শিঙাড়াগুলো ঢাকা নেই কেন? সব উড়ন্ত ধুলো তো ওতেই গিয়ে পড়ছে।"
এক রসিক ব্যবহারকারী মন্তব্য করে লিখেছেন, "শিঙাড়াদের বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছেন বোধহয়।" কারও মতে এটি "একেবারে নিনজা কৌশল!" আবার কেউ লিখেছেন, "এই কৌশল বেরিলির বাইরে যাওয়া উচিত নয়।"
এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী ঠাট্টা করে লিখেছেন, "মনে হচ্ছে, ইনি 'মউত কা কুয়াঁ'-তে পার্ট-টাইম বাইকও চালান।"
ভারী খাবারের ট্রে বহন করা অনেকের পক্ষেই বেশ কঠিন কাজ। কিন্তু সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া অন্য একটি ভিডিওয় এক ওয়েটারকে দুটি ভারী ট্রে একসঙ্গে অবলীলায় বহন করতে দেখা গিয়েছিল। ওই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ওয়েটারটি ঝুঁকে দুটি ট্রে তুলে নিচ্ছেন। একটি ট্রে কাঁধে রেখে অন্যটি বিপরীত হাতে কোনও অবলম্বন ছাড়াই ধরে ফেলেন তিনি।
এর পর ওই দক্ষ ওয়েটার রেস্তরাঁর মধ্যে অনেকটা পথ হেঁটে, এমনকী সিঁড়ি বেয়েও টেবিলে খাবার পৌঁছে দেন। তাঁর এই চিত্তাকর্ষক প্রদর্শনী শুধুমাত্র তাঁর ব্যালান্সের দক্ষতাই নয়, তাঁর শারীরিক শক্তিরও প্রমাণ দিয়েছিল।