ধসে ভাঙা পথঘাট কখন জুড়বে স্পষ্ট নয়, দার্জিলিং-কালিম্পঙে আটকদের ঘুরপথে নামানোর ব্যবস্থা করল জেলা প্রশাসন
আনন্দবাজার | ০৫ অক্টোবর ২০২৫
দুর্যোগের জেরে বিপর্যস্ত পাহাড়ের বড় অংশ। ধসে রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত। যার জেরে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। কত জন পর্যটক উত্তরবঙ্গে আটকে পড়েছেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য সরকারি ভাবে এখনও পাওয়া না গেলেও, সংখ্যাটা যে খুব কম নয়, তা মানছেন অনেকেই। তাঁদের আপাতত বিভিন্ন পকেট রুট দিয়ে সমতলে নিয়ে আসার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
দুধিয়া ব্রিজ ভাঙায় শিলিগুড়ি এবং মিরিকের মধ্যে মূল যে সড়কপথ, তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মিরিক সৌরেনিতে আটকে পড়া পর্যটকদের নল-পটং-লোহাগড় হয়ে শিলিগুড়িতে পাঠানো হচ্ছে। ধস নামায় শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রোহিণী রোড বন্ধ। বিপর্যস্ত হিলকার্ট রোড। ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত পাঙ্খাবাড়ি রোড খোলা। খোলা দার্জিলিং থেকে মংপু হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তা। যানবাহন চলাচল করতে পারে মিরিক-পশুপতি-ঘুম-কার্শিয়াঙের রাস্তাতেও।
তিস্তা ফুঁসে ওঠায় এবং ধসের কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ। যার জেরে বন্ধ শিলিগুড়ি থেকে সিকিম-কালিম্পঙের সরাসরি যোগাযোগ। তবে খোলা রয়েছে লাভা-গরুবাথানের রাস্তা এবং শিলিগুড়ি-কালিম্পঙের পানবু রোড। যে যে রাস্তা খোলা, সেই সব রাস্তায় স্বাভাবিক ভাবেই যানজট তৈরি হয়েছে। এখনও শতাধিক পর্যটক দার্জিলিং, কালিম্পং থেকে সমতলে নামতে পেরেছেন বলে খবর প্রশাসনিক সূত্রে।
শনিবার রাতে বালাসন নদীর উপর দুধিয়ার লোহার সেতুর একাংশ বৃষ্টিতে ভেঙে যায়। এর ফলে শিলিগুড়ি এবং মিরিকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সৌরেনির কাছে দারাগাঁওয়ে গভীর রাতে ধস নামে। একটি বাড়ি ধসে যায়। আপার দুধিয়া বা ডাম্ফেডার এলাকায় চার থেকে পাঁচটি বাড়ি ধসে গিয়ে জলের তলায় চলে গিয়েছে। বেশ কিছু হোমস্টে ছিল দার্জিলিঙের ওই অংশে। সেগুলোও ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুধিয়া নদীর একপাশে রয়েছে বিএসএফের ক্যাম্প। সেটাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রবিবার সকালে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মিরিক অঞ্চলে ৯ জন, সুকিয়াপোখরিতে ৭ এবং বিজনবাড়ি এলাকায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে।