নিউ টাউনের গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার আইটি কর্মীর পচাগলা দেহ, আত্মহত্যা নাকি খুন?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ অক্টোবর ২০২৫
নিউটাউনে এক ব্যক্তির রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার রাতে গৌরাঙ্গনগরের একটি গেস্ট হাউসের ঘর থেকে উদ্ধার হয় এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর পচাগলা দেহ। মৃতের নাম চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় । তিনি উত্তর চব্বিশ পরগনার শ্যামনগরের বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি আইটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন।
পরিবারের দাবি, গত ২ অক্টোবর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন চন্দ্রনাথ। বহু খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে নোয়াপাড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। তদন্তে নেমে পুলিশ চন্দ্রনাথের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জানতে পারে, তাঁর শেষ লোকেশন নিউ টাউনের গৌরাঙ্গনগরের ওই গেস্ট হাউসেই পাওয়া গেছে। সূত্র ধরে শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সেখানে পৌঁছনোর পরই ঘর থেকে দুর্গন্ধ আসতে শুরু করে।
দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, বিছানার উপর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে আইটি কর্মীর। দেহের পাশেই পড়ে রয়েছে একাধিক ঘুমের ওষুধের পাতাও। প্রাথমিকভাবে অনুমান, মৃত্যুর কয়েক দিন আগেই ঘটনা ঘটেছে। দেহটি পচে যাওয়ায় সঠিক সময় ও মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছে, আত্মহত্যা নাকি খুন দুটি দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, এত পরিমাণ ঘুমের ওষুধ তাঁর কাছে এল কীভাবে? যদি আত্মহত্যা হয়, তাহলে এর পেছনে কী কারণ? পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আপাতত সমস্ত প্রমাণ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় গৌরাঙ্গনগর এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে গেস্ট হাউসটি বন্ধই ছিল। কেউ কোনও শব্দ শুনতে পাননি। পরে দুর্গন্ধ ছড়াতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। চন্দ্রনাথের সহকর্মীরাও তাঁর মৃত্যুতে হতবাক। তাঁরা জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে বা ব্যক্তিগত জীবনে তেমন কোনও অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করা যায়নি। তবে সম্প্রতি কাজের চাপ ও মানসিক উদ্বেগে ভুগছিলেন কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বর্তমানে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।