• বিহারে বিধানসভা ভোট নভেম্বরে, ছট পুজোর আগেই মনোনয়ন পর্ব
    বর্তমান | ০৬ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আজ-কালের মধ্যেই বিহার বিধানসভা ভোটের নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলি তো বটেই, ভোটার তালিকা শুদ্ধকরণের নামে স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশনের ফলে বিহারে এবার নির্বাচন গোটা দেশের কাছেই কৌতুহলের। তাই কবে নির্বাচন, তা জানতে মুখিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ছট পুজোর আগেই প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শেষ করে ফেলতে চায় কমিশন। ভোট হবে নভেম্বর মাসের গোড়ায়। 

    বিহারে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে শাসকদলের দুই শরিক নীতীশ কুমারের জেডিইউ চায় এক দফাতেই ভোট হোক। আবার বিজেপির দাবি দু’ দফা। তাই কমিশন পড়েছে চাপে। এমনিতেই এসআইআর কর্মসূচির ফলে এবার ভোট ঘোষণা কিছুটা দেরিতেই হচ্ছে। আগামী ২২ নভেম্বর শেষ হচ্ছে বর্তমান বিহারে বিধানসভার মেয়াদ। তাই তার আগেই ভোট পর্ব শেষ করতে হবে। আবার এক বা দুই দফায় ভোট করালে কমিশনকে পড়তে হবে বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে। একেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে বিরোধীদের আক্রমণের আঘাত ভোগ করতে হচ্ছে। তাই কমিশন চায় তিন দফাতেই ভোট। সেই মতোই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেই ক঩মিশনের বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    আগামী ২০ তারিখ দীপাবলি। ২৫-২৮ অক্টোবর ছট পুজো। তাই তার আগেই নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শেষ করতে চাইছে কমিশন। সেই মতো দিন দশেকের মধ্যেই মনোনয়ন জমার কাজ শেষ করে ভোটে প্রার্থীদের প্রচারের জন্য গড়ে ১৮ থেকে ২০ দিন সুযোগ দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গতবারও বিহারে তিন দফায় ভোট হয়েছিল। ভোট হয়েছিল যথাক্রমে ২৮ অক্টোবর, ৩ এবং ৭ নভেম্বর। ফলপ্রকাশ হয়েছিল ১০ নভেম্বর। এবার তাই কী ঘোষণা করে কমিশন, কৌতুহল রাজনৈতিক মহলে। 

    অন্যদিকে, এসআইআরের ফলে এবার বিহারে মহিলা ভোটারদের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় রবিবার সমালোচনায় সরব হল কংগ্রেস। ইন্দিরা ভবনে এআইসিসির এক সাংবাদিক সম্মেলনে মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী অলকা লাম্বা বলেন, এসআইআরের মাধ্যমে বিহারে প্রায় ২৩ লক্ষ মহিলা ভোটারের নাম কেটে দিয়েছে কমিশন। যার মধ্যে মুসলিম আর দলিতই বেশি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভাগলপুর, পাটনা, পূর্ব চম্পারন, মধুবনী, গোপালগঞ্জ, সরনের মতো ছয় জেলায় গতবার এনডিএর সঙ্গে আরজেডি-কংগ্রেসের মহাজোটের জোরদার লড়াই হয়েছিল। ছয় জেলার ৫৯ আসনের মধ্যে এনডিএ পেয়েছিল ৩৪। মহাজোট ২৫। তাই এই জেলার ওপর কোপ মেরেছে কমিশন, অভিযোগ অলকা লাম্বার। বলেন, মোদি-শাহর ইশারায় কাজ করছে কমিশন। তাই আমরা এসআইআরের বিরোধিতা তো করছিই, একইসঙ্গে কাদের নাম কাটা হয়েছে, তার নজরদারি বাড়াচ্ছি। 
  • Link to this news (বর্তমান)