নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার ও সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: বৃষ্টির জেরে ফুলেফেঁপে উঠেছে ভারত-নেপাল সীমান্তের মেচি নদী। সেই নদী পারাপার করতে গিয়ে ভেসে গেল হস্তিশাবক। পরে কৃষিজমি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি হস্তিশাবককে। তাকে দলে ফিরিয়ে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছে বনবিভাগ। রবিবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় নকশালবাড়ির ঝাপুজোত এলাকায়। বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে প্রায় ৩০টি হাতির দল সীমান্তের মেচি নদী পেরিয়ে নেপাল থেকে ভারতের কলাবাড়ি বনাঞ্চলে প্রবেশ করছিল। ঘটনাক্রমে অচমকা নদীর জল বেড়ে যাওয়া দু’টি হস্তিশাবক ভেসে যায়। কোনওমতে একটি হস্তিশাবককে মা হাতি রক্ষা করতে পারলেও অন্যটি কয়েকশো মিটার ভেসে চলে যায়। নদী থেকে উঠতে পারলেও সে দলছুট হয়ে যায়। পরে ওই এলাকার ধানের জমিতে এদিক ওদিক ছুটতে থাকে। খবর পেয়ে কার্শিয়াং ডিভিশনের একাধিক রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। জাল দিয়ে ওই হস্তিশাবককে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। তবে প্রচুর ভিড় হওয়ায় উদ্ধার কাজে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগে। ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় ওই হস্তিশাবককে উদ্ধার করা হয়। সেটিকে কলাবাড়ি বনাঞ্চলে নিয়ে গিয়ে ছাড়া হয়েছে। এনিয়ে কার্শিয়াংয়ের ডিএফও দেবেশ পান্ডে বলেন, ওই হস্তিশাবকটিকে দলে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছি। টানা বৃষ্টির জেরে সীমান্তের নদীর জলের স্তর বেড়েছে। তাতে বন্যপ্রাণের কোনও সমস্যা যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
এদিকে, প্রবল বর্ষণে জলদাপাড়া অভয়ারণ্য থেকে গন্ডার তোর্সা নদীতে ভেসে পুণ্ডিবাড়িতে চলে আসে। সেটি পুণ্ডিবাড়ি থানার নয়ারহাট কাঠালবাড়ি গ্রামে রয়েছে। খবর পেয়েই কোচবিহার বনদপ্তর, জলদাপাড়া, বক্সা টাইগার রিজার্ভ থেকে টিম আসে সেটিকে উদ্ধার করতে। কোচবিহার বনদপ্তরের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, জলদাপাড়ার জঙ্গল থেকে শাবকটি তোর্সায় ভেসে এসেছে। উদ্ধার করতে বনদপ্তরের আধিকারিকরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। নিজস্ব চিত্র।