নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: ধস ও বালাসন নদীর তাণ্ডব! তাতেই বিধ্বস্ত চা ও কমলার শহর মিরিক। শনিবার রাত থেকে বৃষ্টিতে ভয়াবহ রূপ নেয় বালাসন নদী। এনিয়ে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসন সূত্রে খবর, ধসে মিরিক শহর ও গ্রামীণ এলাকায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। প্রচুর বাড়ি ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধস বিধ্বস্ত এলাকা থেকে দুর্গতদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। সেইসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় এসএসবি এবং এনডিআরএফ নেমেছে।
জিটিএ’র চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মিরিকেই মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ধসে সেখানেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট প্রস্তুত করছে। সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
দার্জিলিং জেলার অন্যতম মহকুমা মিরিক। কমলা বাগান ও চা বাগান বেষ্টিত এই মহকুমার দর্শনীয় স্থান মিরিক লেক। গত ২৪ ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টিতে বালাসন নদী রুদ্র রূপ ধারণ করে। যার জেরে চা ও কমলা বাগান বেষ্টিত এই মহকুমার বহু বাড়ি, রাস্তা, গাড়ি, সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বালাসনের তাণ্ডব দুধিয়া, ধারাগাঁও, দুপতিনে বেশি ছিল। এর ফলে দুধিয়ায় বালাসন নদীর উপর লোহার পুল ভেঙে পড়েছে। শিলিগুড়ির সঙ্গে পর্যটন কেন্দ্র দুধিয়া দিয়ে মিরিকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। দুধিয়াতেই বালাসন নদীতে ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি ও দোকান। এদিন বেশকিছু বাসিন্দা বাড়ির আসবাবপত্র গাড়িতে বোঝাই করে অন্যত্র চলে যান। এর বাইরে মিরিক শহরে ধসে বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। এর মধ্যে মিরিক লেকের কাছেই একটি বাড়িতে দু’জন মারা গিয়েছেন। এছাড়া, ধারাগাঁওয়ে চার এবং দুপতিনে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, ২০২১ সালে বৃষ্টিতে বালাসন নদী ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছিল। সেবার অবশ্য মিরিকে তেমন ক্ষতি হয়নি। সমতলভাগ শিলিগুড়িতে বালাসন সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবার মিরিকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র