• লাঙলের ফলায় উঠে আসা কষ্টি পাথরের মূর্তিতে লক্ষ্মীপুজো কালিয়াগঞ্জের ভাণ্ডারে
    বর্তমান | ০৬ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: চাষের সময় লাঙলের ফলায় আটকে মাটি উপড়ে ওঠে  কষ্টি পাথরে খোদাই করা  লক্ষ্মী-নারায়ণের  মূর্তি। আর তারপর থেকে কালিয়াগঞ্জের ভাণ্ডার এলাকার বাসিন্দারা সেই জমিতে মন্দির তৈরি করে ঘটা করে লক্ষ্মী-নারায়ণের পুজো করে আসছেন। ৩১ বছর ধরে লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যায় এই পুজো হয়। এক সপ্তাহ ধরে চলে বাউল উৎসব ও  মেলা।  

    বর্তমানে জোর কদমে চলছে পুজোর প্রস্তুতি।  মন্দির সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি,  মন্দির সংলগ্ন এলাকাও সাজানো হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় থেকে বাউল শিল্পীরা আসবেন।  মেলায় আসেন মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষ।

    স্থানীয় বধূ অনিমা বর্মন জানান, মন্দির পরিষ্কার করে পুজোর সমস্ত আয়োজন করা হয়েছে। পুজোর সব ব্যবস্থা মহিলারাই করেন। নিজেদের বাড়িতে পুজো দিয়ে  গ্রামের মহিলারা মন্দিরে একত্রিত হয়। মন্দিরে অঞ্জলি দেওয়ার পর পুজো শেষ হয়। লক্ষ্মী-নারায়ণের পুজো এখানে উৎসবের চেহারা নেয়। অনিমার কথায়, আমরা সারাবছর এই পুজোর অপেক্ষায় থাকি। পুজো শেষে মেলা হয়। বসে বাউল গানের আসর।

    কীভাবে শুরু এই পুজো? স্থানীয়রা বলছেন, গোকুলচন্দ্র বর্মনের জমিতে নরেশ বর্মন কাজ করার সময় লাঙলের ফলায় উঠে আসে একটি পাথর। সেই পাথরে খোঁদাই করা ছিল লক্ষ্মী-নারায়ণের মূর্তি।  তারপর থেকে গ্রামের সবাই এই পুজো করে আসছেন।

    পুজো কমিটির সদস্যা কার্তিকা বর্মন বলেন, প্রশাসন এই মূর্তি উদ্ধার করে নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয়রা তা আটকে দেয়। পরেই এলাকাবাসীর দাবি মতো মন্দির তৈরি করে পুজো শুরু হয়। 

    প্রতিবছর চাঁদা তুলে পুজোর আয়োজন করা হয়। পুজোর দিন বিকাল থেকে ভক্তদের ভিড় জমতে থাকে মন্দিরে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভক্তরা পুজো দিতে আসেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)